স্টাফ রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে কোম্পানির পর্ষদ থেকে তিনজন পরিচালকের মনোনয়ন বাতিল করেছে কমিশন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি।
তথ্য অনুসারে, বিএসইসি আলহাজ টেক্সটাইল মিলসের পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের (বিএএসএম) সিনিয়র ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খান ও নোভারটিসের কান্ট্রি চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) ফাহমিদ ওয়াসিক আলীকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। একই সঙ্গে পর্ষদ থেকে খন্দকার কামালুজ্জামান, মো. জিকরুল হক ও ড. এএফএম আবদুল মঈনের মনোনয়ন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ মনোনয়ন বাতিল ৫ জুন থেকে কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হবে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩০ পয়সা। আর সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১৮ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৭ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আলহাজ টেক্সটাইল মিলস। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৯ টাকা ৫২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৮ টাকা ৬১ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল আলহাজ টেক্সটাইল। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ হিসাব বছরে লোকসানের কারণে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানিটি ১০ শতাংশ করে নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করেছে।
১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলহাজ টেক্সটাইলের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯। এর মধ্যে ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া সরকারের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য ১, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৬৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১৫৯ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৯৯ টাকা ৯০ ও ২০৪ টাকা ৭০ পয়সা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।