সকল মেনু

‘আইপিও স্টক মার্কেটের বেজলাইন’

শাহীনুর ইসলাম: ‘আইপিও (প্রাথমিক গণ প্রস্তাব) স্টক মার্কেটের বেজলাইন, মার্কেটকে বড় করে। আইপিও নিয়ে আসলে মার্কেট ভাইব্রান্ড হয়। মার্কেটে গত বছরে ৬টি আইপিও আসে, তার মধ্যে চারটি ফাইন্যান্স ইন্সটিটিউশনের। এসব টাকা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্যাপিটাল মার্কেটেই ইনভেস্টমেন্ট করেছে’ বলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন।

বাংলাদেশ ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (এসবিজেএ) সঙ্গে সোমবার বিকালে বিএমবিএর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন হিতোপদেশ দেন মতিন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পুঁজিবাজার বিটের সাংবাদিক সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক এ এস এম হাসিব হাসান।

আরো উপস্থিত ছিলেন এসবিজেএর সহসভাপতি সানি আহম্মেদ, রাজিব জামান, এমএইচ রনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান কবির জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমান রনো, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সুজন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, প্রচার ও শিক্ষা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদসহ সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্যরা।

সভায় মার্চেন্ট ব্যাংক বিএসএমএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রিয়াদ মতিন বলেন, ‘বাংলাদেশের মার্কেটের জন্য বন্ড মার্কেট ভালো। পারপেচ্যুয়াল বন্ড বাজারে যাত্রা শুরু করেছে, তবে এই সময়ে বন্ডের বাজার কতোটা প্রস্তুত তা নিয়ে ভাবতে হবে।’

‘পারপেচ্যুয়াল বন্ড এক ব্যাংক দিচ্ছে, অন্য ব্যাংক কিনছে। এখানে একজনের পণ্য আরেক প্রতিষ্ঠান কিনছে। এখানে কিন্তু ফ্রেশমানি ঢুকছে না। আরেকটু স্টাডি করে সময় নিয়ে আনা দরকার ছিল। বন্ড মার্কেটের প্রতি আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল তা আমরা দেখতে পারলাম না। ’

তিনি বলেন, ‘এখন বন্ডের আন্ডার রাইটার নিয়ে অনেকে ভীত। যারা বন্ডের আন্ডার রাইটার নিলেন, নেয়ার পরে এক্সিট পয়েন্ট নিয়েই তারা ভীত।’

‘কারণ আমাদের সেই ফ্যাসিলিটি নেই। আমাদের ফ্যাসিলিটি দিতে হবে, তবেই প্রত্যেকে আন্ডার রাইটার হতে চাইবে। তবে আইপিওর ক্ষেত্রে তা হয়না। অভারটুয়েন্টি টাইমস সাবসক্রাইব হয়, এখানে সেই চাপ থাকে না।’

‘ক্যাপিটাল মার্কেটের ট্রেন্ড হচ্ছে এখন ইকুইটি ট্রেডিং, শেয়ার কিনব- শেয়ার বেচব। এই হচ্ছে ক্যাপিটাল মার্কেট; অথচ এটা হওয়ার কথা নয়। এই কনসেপ্ট থেকে বেরিয়ে না আসতে পারলে মার্কেট বড় হবে না।’

‘কমোডিটি মার্কেট বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেট, তার মূল্যায়ন হচ্ছে না, বলেন তিনি।

‘আইপিওতেও এখন আমরা কাজ করতে ভয় পাই। কেন, তা আপনাদের জানা দরকার। প্রত্যেক আইপিওতে আমাদের লিখিত দিতে হয়। এখানে আমরা চাকরি করি। এমনভাবে লিখিত দিতে হয়, সকল দায় আমাদের নিতে হবে। কোন কারণে সমস্যা দেখা দিলে বড় অঙ্কোর জরিমানা দিতে হয়। অন্যদিকে সম্মান হারানোর বড় ভয় কাজ করে’ বলেন রিয়াদ মতিন।

সভায় বক্তব্য রাখেন এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব মজুমদার

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দেশের শীর্ষ মাচেন্ট ব্যাংক এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সিইও) মাহবুব মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘একটি মার্কেটের মূল হলো স্কিপ্ট। আইপিও হলো সেই স্কিপ্ট; আইপিও না থাকলে মার্কেট বড় হবে না। পৃথিবীর সব মার্কেট দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে অথচ আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট অগ্রসর হচ্ছে না, বিপরীত দিকে যাচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সব কোম্পানি যে লাভ করবে তা নয়, কোনটি লোকসানও করবে। মার্কেটে ১০টি কোম্পানি আসবে। তার মধ্যে দু-একটি খারাপ হতেও পারে। তার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানি কি দায়ী? সেজন্য যে আইপিও অনুমোদন পাবে না, তা কি কওে হয়! তবুও আইপিও আসতে হবে।’

‘অডিট রিপোর্ট, ইনকাম ট্যাক্স দেয়া এটা আমাদেও কাজ নয়। অডিটর অডিট করে রিপোর্ট দেয়, আমরা সেটা প্রোসপেক্টাসে তুলি। আমাদের দায় সেখান থেকে তোলার সময় টুয়িস্ট করেছি কিনা। সেই অডিট রিপোর্ট ঠিক আছে কিনা সেটা দেখা আমার দায়িত্বেও মধ্যে পড়ে না। সেটা অনেকে বুঝতে চায় না, তারা হইচই করেন। যারা বোঝেন, তারা এটা নিয়ে আর প্রশ্ন তোলেন না।’

‘তবে অনেক ক্ষেত্রে অডিট রিপোর্ট মিস করার ক্ষেত্রে দায় ইস্যুয়ারের উপর পড়ে’ বলেন তিনি। মাহবুব মজুমদার বলেন, ‘অনেকে খারাপ দৃষ্টান্ত আছে। তবে ইস্যুয়ার কোম্পানি, জয়েন স্টক কোম্পানি সবাইকে ভালো কাজ করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাংবাদিকরা

‘তবে যে অবস্থায় হোক আইপিওকে আসতে দিতে হবে; আইপিও আনতে হবে’ বলেন মাহবুব মজুমদার। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিস লিমিটেডর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু বকর।

মতবিনিময় সভায় উন্মুক্ত আলোচনা করেন উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top