স্টাফ রিপোর্টার: একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। প্রসপেক্টাসে কোম্পানির এ আইপিও তহবিলের অর্থ ব্যবহারের জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত।
কোম্পানিটি গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ তহবিলের মাত্র ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যবহার সম্পন্ন করেছে। সে হিসেবে বাকি ছয় মাসের মধ্যে এ তহবিলের ৭০ দশমিক ৯৫ শতাংশ অর্থ ব্যবহার করতে হবে কোম্পানিটিকে। মে ও জুন মাসের আইপিও তহবিল বব্যহারের তথ্য কোম্পানিটি এখনো তাদের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করে নি।
কোম্পানির সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, একমি পেস্টিসাইডসের আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ৩০ কোটি টাকার মধ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৮ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬১ টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা কোম্পানির কারখানা ভবন নির্মাণের জন্য এবং ১ কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৫৬১ টাকা আইপিও ইস্যু ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এখনো কোম্পানিটির আইপিও তহবিলের ২১ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৯ টাকা অব্যবহৃত রয়েছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২৯ পয়সা।
আর সর্বশেষ দ্বিতীয় তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৫ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে একমি পেস্টিসাইডস। কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ১২ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা এবং আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৮ টাকা ৪৮ পয়সা।
২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমি পেস্টিসাইডসের অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৩৫ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।