স্টাফ রিপোর্টার: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে। শনিবার, ২৯ জুলাই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে বলে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন মজুমদার জানান। আগামী ডিসেম্বরে এই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে বলা আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্টের দুইটি ইউনিটের মধ্যে প্রথমটিতে পরীক্ষামূলক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। বিকাল থেকে এর উৎপাদন ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অসংখ্য চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আজ এক স্বপ্নজয়ের দিন। পাহাড় ও সমুদ্রঘেরা দ্বীপকন্যা মহেশখালীর বুকে তৈরি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ আজ সফলভাবে যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনের শুরুতে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জোগান দেওয়া হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে, যা পর্যায়ক্রমে ৬০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানান।
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাপানের সহায়তায় প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অন্যতম।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ডিসেম্বরে ইউনিটটির নিয়মিত উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ উৎপাদন চলবে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এটি পুরোপুরি চালুর পূর্ব পরিকল্পনা আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর কাজ ৯০ শতাংশ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, পুরো প্ল্যান্টে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে ৫ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং ৬৫ হাজার টন আগামী ৭ আগস্ট উৎপাদন এলাকায় পৌঁছাবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহায়তার প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।