স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেছেন, শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল (সিএমএসএফ) বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য অবণ্টিত ডিভিডেন্ড বুঝিয়ে দিতে ইতোমধ্যে ১১৭০ জনকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নগদ অর্থ পেয়েছেন প্রায় ৮০০ জন এবং শেয়ার পেয়েছেন ৩৯১ জন।
রোববার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে নজিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত সিএমএসএফ ফান্ডের আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২৭০ কোটি টাকা, এর মধ্যে নগদ টাকা সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা। স্টক সংগ্রহ হয়েছে যা বর্তমান বাজার মূল্যে ৭১০ কোটি টাকা।
শেয়ারবাজারের যে সম্ভাবনা আছে তা এখন সফল না হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে সিএমএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, আজ খারাপ কাল তো খারাপ নাও থাকতে পারে। আগামী দিনের সুন্দর শেয়ারবাজারের জন্যই আমরা সবাই কাজ করছি, হয়তো তার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি জানান, আমরা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উন্নয়নে ইটিএফ চালু করতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে ৩ টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছে। আমরা আলাপ আলোচনা করে এটি চালু করতে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য যথাযথভাবে দিয়েছে কিনা, সেটা যাছাইয়ে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি কোম্পানিকে আমরা অডিট করবো। আগামী ৩০ জুনের পর যদি কেউ অবণ্টিত ডিভিডেন্ড না দেয় তাদেরকে জরিমানা করা করা হবে।
সিএমএসএফ চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, আমাদের সেবাটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উপযোগী করতে ডিজিটালাইজেশন করা জরুরি। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারিরা সহজে অনলাইনে বা ঘরে বসে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবে। বর্তমানে এই ফান্ডটি বিনিয়োগকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যারা ডিভিডেন্ড পাচ্ছে না তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করবো।
