সকল মেনু

মাস্টার ফিডের হারানো শেয়ার ও টাকা কার পকেটে

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বামী মারা যাওয়ার পর উত্তরাধিকার হিসেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এক কোম্পানির সাড়ে ১৭ লাখের বেশি শেয়ারের মালিকানা পেয়েছিলেন উম্মে হাবিবা। শেয়ারের বাজারমূল্য প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা। তাঁর অজান্তে তাঁর নামে বিও ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে শেয়ার হস্তান্তর ও বিক্রি করা হয়েছে। পরে শেয়ার বিক্রির টাকা চারটি অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করে কে বা কারা এরই মধ্যে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। তথ্য সূত্র : সমকাল

উম্মে হাবিবা যে শেয়ার আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন, তা স্বল্প মূলধনি কোম্পানি হিসেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মাস্টার ফিডের। তাঁর স্বামী রফিকুল আলম ছিলেন এ কোম্পানির পরিচালক। মারা যাওয়ার আগে নিঃসন্তান রফিকুল আলমের মালিকানায় কোম্পানির ৭০ লাখের বেশি শেয়ার ছিল।

উত্তরাধিকার হিসেবে উম্মে হাবিবা ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ শেয়ার পান। এই শেয়ারের কিছু আত্মসাৎ হয়েছে এবং বাকিটা চেষ্টা চলছে বলে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগের তীর মাস্টার ফিডের এমডি কবির হোসেন ও তাঁর সহযোগীদের দিকে।

উম্মে হাবিবার আগে রফিকুল আলমের শেয়ার আত্মসাতের সন্দেহে গত ২০ জুলাই ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ নামে একটি ব্রোকারেজ হাউসের সিইও কাউসার আল মামুন অভিযোগ করেন বিএসইসির কাছে। গত ২৩ জুলাই উম্মে হাবিবার স্বাক্ষরে বিএসইসির কাছে উল্টো কাউসার আল মামুনের বিরুদ্ধেই জালিয়াতি করে শেয়ার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

আবার ২৭ জুলাই উম্মে হাবিবার নামে আরেক আবেদনে দাবি করা হয়, ২৩ জুলাইয়ের অভিযোগটি তাঁর নয়; অন্য কেউ স্বাক্ষর জাল করে অভিযোগটি করেছে। উম্মে হাবিবার দাবি, কাউসার আল মামুন তাঁর শেয়ার রক্ষার চেষ্টা করছেন।

শেয়ার আত্মসাতের এ ঘটনায় মাস্টার ফিডের এমডি কবির হোসেনের সম্পৃক্ততা থাকার আলামত মিলেছে। উম্মে হাবিবার শেয়ার বিক্রির টাকার অংশ কবির হোসেনের একটি প্রতিষ্ঠান ও তাঁর কোম্পানির পণ্য সরবরাহকারীর অ্যাকাউন্টেও গেছে। তবে হাবিবার কথায়ও কিছু গরমিল পাওয়া গেছে।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

রফিকুল আলম গত বছরের ২৫ জুলাই মাত্র ৪২ বছর বয়সে মারা যান। নিঃসন্তান রফিকুলের মৃত্যুর পর তাঁর বাবা আবদুর রশিদ ৭৫ শতাংশ ও স্ত্রী উম্মে হাবিবা ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা পান। আবদুর রশিদ তাঁর শেয়ার দ্বিতীয় ছেলে তৌহিদুল আলমকে দান করেন। শেয়ার নিয়ে তৌহিদুল আলম মাস্টার ফিডের পরিচালক হন। কিন্তু বড় ভাইয়ের মৃত্যুর এক বছরের ব্যবধানে গত ৩ জুলাই তিনিও মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৯ বছর। উভয়ের স্ত্রীর ভাষ্য, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তারা। এক বছরের মধ্যে দুই ভাইয়ের অকালমৃত্যু রহস্যজনক।

বিএসইসিতে কাউসার আল মামুনের অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত মার্চ মাসে উম্মে হাবিবা ইয়াছমিন নামে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজে একটি বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ওই অ্যাকাউন্টে মাস্টার ফিডের ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ শেয়ার জমা হয়। মে মাসে সেখান থেকে ১৫ লাখের বেশি শেয়ার এক কোটি ৮২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর পর চার দফায় এক কোটি ১৮ লাখ টাকা হাবিবার নামে খোলা সাউথইস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হয়।

পঞ্চম দফায় ৫৬ লাখ টাকা হস্তান্তরে চাহিদাপত্র এলে তিনি জানতে পারেন, হাবিবার পক্ষে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছেন আবুল বাশার নামের এক ব্যক্তি। আর অ্যাকাউন্টের নমিনির নাম পিয়ার উদ্দিন, যার সঙ্গে সম্পর্ক উল্লেখ করা ‘কাজিন’। যাচাই করতে বিও অ্যাকাউন্ট ফরমে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন করেন মামুন। ফোন রিসিভ করেন ইভা আকতার নামের এক নারী, যিনি হাবিবার বোন (প্রকৃতপক্ষে দেবরের স্ত্রী) বলে পরিচয় দেন। তিনি আবুল বাশারকে চেনেন না বলে জানান। এ সময় তিনি হাবিবাকে ব্রোকারেজ হাউসে আসার অনুরোধ জানান।

গত ২১ মে আবুল বাশার ফোন করে ব্রোকারেজের সিইওকে জানান, হাবিবা দুর্ঘটনায় পায়ে ব্যথা পেয়েছেন; আসতে পারবেন না। সিইও অনুরোধ করেন, সুস্থ হলে হাবিবা যেন এনআইডি ও পাসপোর্টের কপিসহ সাক্ষাৎ করেন। এর পর শুধু আদালতের উত্তরাধিকার সনদ পাঠান আবুল বাশার। এ পর্যায়ে সিইও দেখেন, উত্তরাধিকার সনদে মৃত রফিকুল আলমের স্ত্রী হিসেবে হাবিবার নাম থাকলেও এনআইডি, পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোথাও স্বামীর নাম উল্লেখ নেই। তখন বিও অ্যাকাউন্টের নমিনি পিয়ার উদ্দিনকে ফোন করে জানতে পারেন, তিনি (পিয়ার) হাবিবার আত্মীয় নন; মাস্টার ফিডের কর্মচারী।

তিনি আরও জানতে পারেন, আবুল বাশার মাস্টার ফিডের কোম্পানি সচিব। গত ১৬ জুলাই মাস্টার ফিডের এমডি আপাদমস্তক ঢাকা এক নারীসহ চার/পাঁচজনকে নিয়ে হাবিবার এনআইডি দিয়ে পরিচয় যাচাই করে অন্য কোনো প্রশ্ন না করে ব্যাংকে টাকা হস্তান্তরের কথা বলেন। তবে হাবিবাকে তাঁর পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করতে সংশ্লিষ্টরা ক্ষেপে গিয়ে হুমকি দিয়ে বের হয়ে যান। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মামুন।

কাউসার আল মামুন বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, রফিকুল আলমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এবং মৃত্যুর পর গ্রামে দাফন করা হয়েছে। আর হাবিবা রফিকুলের স্ত্রী। হাবিবা তাঁকে জানিয়েছেন, বিও ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, বিও শেয়ার জমা হওয়া এবং তা বিক্রি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা হস্তান্তর ও পরে তা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

হাবিবা যা বলেছেন

গত ২৪ জুলাই হাবিবা জানান, মাস্টার ফিডের এমডির সঙ্গে ১৬ জুলাই ব্রোকারেজ হাউসে তিনিই যান। আর সাউথইস্ট ব্যাংকের মালিবাগ শাখায় তাঁর সম্মতিতেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তাঁর দেবর প্রয়াত তৌহিদ। দেবরের মাধ্যমে চেক দিয়ে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা নগদে তোলেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হাবিবার নামে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে নগদে নয়, ১০ দফায় চেক দিয়ে অন্য তিন প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা হস্তান্তর হয়। পরে ওই সব অ্যাকাউন্টে টাকা জমার পরদিনই কে বা কারা নগদ চেকে তা উত্তোলন করেছেন।

২৭ জুলাই বিএসইসিতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হাবিবা দাবি করেন, মাস্টার ফিডের এমডি ও সচিব তাঁকে ভুল বুঝিয়ে ছিলেন যে, সিইও কাউসার টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। তাদের কথায় বিশ্বাস রেখে তাদের শিখিয়ে দেওয়া কথা বলেছিলেন।

হাবিবা জানান, বিও ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। স্বামীর মৃত্যুর পর শেয়ারসহ কোম্পানির কাগজপত্র তাঁর নামে হস্তান্তর করার কথা বলে মাস্টার ফিডের এমডি এবং তাঁর প্রয়াত দেবর তৌহিদ অনেক কাগজে স্বাক্ষর নেয়। তিনি কখনও ব্যাংকে যাননি। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্বাক্ষর তাঁর নয়। তাঁর কাছে ব্যাংকের চেকবই নেই। এ অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে করা স্বাক্ষর ‘জাল’। ব্যাংক থেকে কে টাকা তুলেছে, সে বিষয়ে তাঁর ধারণা নেই।

হাবিবার ব্যাংকের টাকা কে তুলেছে

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেবর তৌহিদই সাউথইস্ট ব্যাংকের মালিবাগ শাখায় হাবিবার নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন। হাবিবার নামে থাকা শেয়ার বিক্রির টাকা তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের অন্তত চার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করেন। উম্মে হাবিবার ভুয়া স্বাক্ষরে চেক জমা দিয়ে ঢাকার দক্ষিণখানের চিটাগং ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিন দফায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি মাস্টার ফিডের সরবরাহকারী। গত ১৫ জুলাই হাবিবার নামে খোলা বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লাখ টাকা এ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ওই দিনই ৯ লাখ ও চার লাখের পৃথক দুটি চেকে নগদে কে বা কারা টাকা তুলে নিয়েছেন।

একইভাবে কিংস এগ্রো নামে দক্ষিণখানের আরেক প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫ লাখ টাকা, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাজি মো. নবী হোসেন ডেইরি ফার্মের নামে সোয়া ৩৯ লাখ টাকা এবং ফখরুল ইসলাম হাসান নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। এসব অ্যাকাউন্ট সাউথইস্ট ব্যাংকের মালিবাগ শাখায়।

নবী হোসেন ডেইরি ফার্মের মালিক মো. জাহাঙ্গীর জানান, উম্মে হাবিবাকে তিনি চেনেন না। তিনি বলেন, এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিন থেকে চার লাখ টাকা লেনদেন হবে। তবে এত টাকা লেনদেনের বিষয়টি জানেন না। নবী হোসেনের ডেইরি ফার্মে গত ১৫ মে প্রথম ১২ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে হয়। ওই দিন আন্তঃব্যাংক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আরটিজিএসের মাধ্যমে মাস্টার কম্পিউটার নামে এক প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর হয়। এ নামে মাস্টার ফিড কোম্পানির এমডি কবির হোসেনের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

জাহাঙ্গীর জানান, তিনি মাস্টার ফিড বা এর এমডিকে চেনেন না। কিংস এগ্রোর মালিক রাসেল আহমেদ তপু সমকালকে জানান, তিনি মৃত রফিকুল আলমের কাছে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা পান। রফিকুলের মৃত্যুর পর তাঁর ভাই তৌহিদ অর্ধকোটি টাকার বেশি দিয়েছেন। তবে তৌহিদ মারা যাওয়ার পর আর টাকা পাননি। সাউথইস্ট ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কাছে স্বীকার করেন, মৃত তৌহিদুল আলমের সঙ্গে পরিচয়সূত্রে গ্রাহকের উপস্থিতি ছাড়াই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে ও তৌহিদকে টাকা হস্তান্তর করতে দিয়েছেন।

মাস্টার ফিডের এমডির বক্তব্য

মাস্টার ফিডের এমডি কবির হোসেন বলেন, রফিকুল আলম ছিলেন তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার। রফিকুলের কিছু দায়-দেনা ছিল। শেয়ার হস্তান্তর করে দায়-দেনা পরিশোধ করার বিষয়ে তাঁর সামনেই পরিবারের সদস্যরা আলোচনা করে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী হাবিবাকে উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল। হাবিবা কার প্ররোচনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, বুঝতে পারছেন না।

হাবিবার অজ্ঞাতে বিও ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং তার পর শেয়ার বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা হস্তান্তর ও ভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তা উত্তোলনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত হাবিবা শিক্ষিত নারী। কোন কাগজে কী কারণে স্বাক্ষর করছেন, তা তাঁর না বোঝার কথা নয়।

হাবিবার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেন কবির হোসেন। নবী হোসেন ডেইরির অ্যাকাউন্ট ১২ লাখ টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোথাও ভুল হচ্ছে। আর মাস্টার কম্পিউটার নামে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে। মাস্টার ফিডের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চিটাগং ট্রেডার্সের নামে পৌনে ৩০ লাখ টাকা হস্তান্তর বিষয়ে তিনি বলেন, এমন লেনদেনের বিষয়ে তিনি জানেন না।

কথা বলতে চান না রফিকুলের বাবা

রফিকুলের বাবা আবদুর রশিদের সঙ্গে গত ৩১ জুলাই এ প্রতিবেদকের ফোনে কথা হয়। বাসায় গিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, তাঁর প্রেশার বেড়েছে, কথা বলতে পারছেন না। ঠিকানা জানতে চাইলে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর বলে জানান। কিন্তু রোড বা বাড়ির নম্বর বলতে পারেননি। এর পর তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। বাবা রশিদের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে তাঁর দ্বিতীয় ছেলে তৌহিদের স্ত্রী ইভা আকতারের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে দেখা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top