সকল মেনু

বুধবার পুঁজিবাজারে ধস

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার, ১৬ আগস্ট ধস নেমেছে। মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ থেকে ‘উৎসে কর’ কাটা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ডিএসইর সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৬৭ পয়েন্ট।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বুধবার মাত্র ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অর্থাৎ পনেরো গুণেরও বেশি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। আর দরপতন থেকে ধসের দিকে ধাবিত হয়েছে পুঁজিবাজার।

সোমবারও পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছিল। এ দুই দিনে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৩ হাজার ৫৭৭কোটি টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ নানা গুজবে কান দিয়ে শেয়ার বিক্রি করছে। তারা মনে করছে, বাজারে আরও দরপতন হবে। এই আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি চাপ বেশি থাকায় দরপতন অব্যাহত রয়েছে।

ডিএসইর তথ্যমতে, আজ বাজারে ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬ কোটি ৫৫ লাখ ১২ হাজার ৬৫৮ শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৩৫১ কোটি ৫৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ পয়েন্টে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৫৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৭৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৩টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top