সকল মেনু

আইপিওর টাকা লোপাট, ইন্ট্রাকোর দৃষ্টি এখন কনভার্টেবল বন্ডে

স্টাফ রিপোর্টার: ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডকে ব্যবসা সম্প্রসারণে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোতি দিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই অর্থ যে প্রয়োজনে নিয়েছিল তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন না করতে পারলেও, আবারও ৫০ কোটি টাকার কনভার্টেবল বন্ডের আবেদন করেছে কোম্পানিটি।

অথচ ২০১৮ সালে তালিকাভুক্ত হয়ে আইপিওর অর্থ দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনা জমা দিয়েছিল কোম্পানিটি, এখনও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

শেয়ারবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ কোম্পানিটি এলপিজি বোতলজাতকরণ ও ডিস্ট্রিবিউশন প্লান্ট স্থাপন এবং আইপিওর খরচ মেটাতে ব্যয় করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কোম্পানিটি নতুন কারখানা কেনার জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট আরেকটি প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো তিয়ানলং এলপিজি সিলিন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের সাথে চুক্তি করে।

এই চুক্তি অনুসারে কোম্পানিটি ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে ক্রয় করে ইন্ট্রাকো এলপিজি সিলিন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড।

২০১৯ সালে ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিনিয়োগকারীদের থেকে অনুমোদন নিয়ে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত কোম্পানিটি উৎপাদনই শুরু করতে পারেনি। কবে উৎপাদন শুরু করবে তারও ঠিক তথ্য জানে না কোম্পানিটির কতৃপক্ষ। শুধু কী তাই, কোম্পানিটি নতুন করে কোথায় বিনিয়োগ করেছে, ফ্যাক্টরীটি কোথায়-এই বিষয়েও সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানি সচিব জিএম সালাহ উদ্দিন।

আইপিও টাকা নিয়ে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত উৎপাদনেই ফিরতে পারেনি। তাহলে কি কোম্পানিটি আইপিওর অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারই করেনি। তাহলে কী কোম্পানিটি সঠিকভাবে আইপিও অর্থ ব্যবহার করেনি? প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আইপিওর অর্থের মতো বন্ডের অর্থও কোম্পানিটি লুটপাট করার ধান্ধা করছে। সেই আলোকেই চলছে কোম্পানিটি। ইতোমধ্যে কোম্পানিটি কনভার্টেল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার জন্য বিএসইসিতে আবেদনও করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ করেছে, তা যেখানে ব্যবহার করেছে, সেই প্রতিষ্ঠান এখনও উৎপাদেনই যেতে পারেনি। এখন আবার নতুন করে কিভাবে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা হাতানো যায় সেই ফন্দি নিয়েই হাজির হয়েছে। তারই আলোকেই ৫০ কোটি টাকার বন্ডের আবেদন করেছে কোম্পানিটি। বিষয়টি দেশের শেয়ারবাজার এবং অর্থনীতির জন্য খুবই দুঃখজনক।

কোম্পানি সচিব বলেন, আইপিও অর্থ দিয়ে যে ফ্যাক্টরী করা হয়েছে, তা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছুদিন আগেও ফ্যাক্টরীটি উৎপাদনে ছিল। ফ্যাক্টরীটি কোথায় অবস্থিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্বরোড নামক স্থানে। বিশ্বরোড কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top