স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের আর্থিক বিবরণী এবং উৎপাদন কার্যক্রম খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র বলছে, সম্প্রতি ডিএসইর এক কর্মকর্তা নিজের পরিচয় গোপন রেখে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন থেকে পণ্য কেনার জন্য কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোম্পানিটির এক কর্মকর্তা জানায় যে, তাদের কারখানা কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
এরপর বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অবহিত করে ও তদন্ত করতে অনুরোধ জানায় ডিএসই।
এর প্রেক্ষিতে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের আর্থিক বিবরণী এবং কার্যক্রম খতিয়ে দেখার জন্য বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়ালকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে আদেশ জারির ৬০ দিনের মধ্যে কমিশনে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে যে কারখানাটি কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এখন আমরা বিস্তারিত খতিয়ে দেখতে চাই।
উৎপাদন সম্পর্কে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কারখানা চালু রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা কারখানা চালানোর ক্ষমতাও আমাদের আছে। তবে ক্রয়াদেশ অনুযায়ী অক্সিজেন উৎপাদন করি।
তিনি বলেন, মূলত শিপইয়ার্ডগুলোই তাদের ক্রেতা। শিপইয়ার্ডের শ্রমিকরা ভারী বৃষ্টিতে কাজ করতে পারে না বলে বর্ষায় তাদের ক্রয় অর্ডারের পরিমাণ কমে যায়।
গত তিন দশক ধরে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করে আসছে। ২০২০ সালে ব্যবসা সম্প্রসারণে শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
তখন কোম্পানিটি বলেছিল, প্রাথমিক পাবলিক অফার তহবিল পাওয়ার দুই বছরের মধ্যে সেই অর্থ ব্যবহার করবে। তবে এখন পর্যন্ত এর ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে। কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২২ অর্থবছরের জন্য শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে, কোম্পানিটি একটি রূপান্তরযোগ্য বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পর ২৫০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করে। ফান্ড অ্যারেঞ্জার হিসেবে কোম্পানিটি জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে।
৩১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার রয়েছে ৩০.৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯.৫০ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.২৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৯.৫৬ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানিটির শেয়ারদর দীর্ঘদিন ধরে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সায় ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।