সকল মেনু

বিএসসিসিএলের আয় বাড়ল

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) আয় ও কর পরবর্তী নিট মুনাফা দুটোই সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২২-২৩ হিসাব বছরে আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।

কোম্পানিটির সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আলোচ্য হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিএসিসিএলের আয় হয়েছে ৫১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরে এ আয় হয়েছিল ৪৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৪ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৭৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর আগের হিসাব বছরে যা হয়েছিল ২৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিএসসিসিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরের যা ছিল ১৩ টাকা ৬৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৫ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৪ টাকা ৪৫ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।

ঘোষিত লভ্যাংশ ও আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়াহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ১২ অক্টোবর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আগামী ২০ সেপ্টেম্বর।

৩০ জুন, ২০২১-২২ হিসাব বছরে জন্য ঘোষিত ৪৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্সে (বিও) পাঠিয়েছে বিএসসিসিএল। কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২০৫ কোটি ২ লাখ টাকা এবং আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৫ টাকা ১৬ পয়সা এবং যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৬৬ পয়সা এবং আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫২ টাকা ৪৯ পয়সা।

৩০ জুন, ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএসসিসিএল। ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিএসসিসিএলের শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। আগের হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ডিএসইতে মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২১৮ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার ২৮৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৪৫ টাকা ১০৯ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top