হোসাইন আকমল : মিনোরি বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে। ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড ও এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিনিয়োগ করে পরিচালনা পর্ষদে তিনজন পরিচালক দিয়েছে মিনোরি।
তারল্য সংকটকালে দুই প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাল লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। মিনোরি বাংলাদেশ ফু-ওয়াং ফুডসের ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার কিনে পরিচালনা পর্ষদে অংশ নেয়। বিশেষ মূলধন বাড়া এবং অভিহিত শেয়ারের মূল্য পেরিয়ে যেতে না পারা ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে সপ্তাহজুড়ে (২৭ থেকে ৩১ আগস্ট) ৬ কোটি ৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
যার বাজার মূল্য ছিল ২২৫ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০.১৩ শতাংশ। যা প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৪৫ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন করে। যদিও বৃহস্পতিবার দিনশেষে শেয়ারপ্রতি দর হয়েছে ৪০. ৬০ টাকা।
অন্যদিকে, আরেক প্রতিষ্ঠান এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বৃহস্পতিবার লেনদেনের পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দুটি কোম্পানির একই পথে হাঁটছে। যদিও ১৬ আগস্ট ‘নিলাম থেকে রক্ষা পেল এমারেল্ড অয়েল’।
বিপুল পরিমাণ শেয়ার লেনদেন ঘিরে দুটি কোম্পানি নতুন করে পালে হওয়া দিচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিনোরি বাংলাদেশ ফু-ওয়াং ফুডসের ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। শেয়ার কিনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফু-ওয়াং ফুডসের পর্ষদে বসেন মিনোরি বাংলাদেশের তিন পরিচালক।
তারা হলেন- বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাপানি নাগরিক মিয়া মামুন এবং এমারাল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল হোসেন ও পরিচালক সিদরাতুল মাহবুব হাসান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে (২৭ থেকে ৩১ আগস্ট) ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০.১৩ শতাংশ। যা প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৪৫ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন করে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে বিদেশি কোম্পানি মিনোরি বাংলাদেশের ৫ কোটি শেয়ার কেনার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শেয়ারের মূল্য অতিবৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয়ত; এপ্রিল থেকে ৩০ জুন চতুর্থ প্রান্তিকে মুনাফা ঘিরে শেয়ারপ্রতি দরে অতিবৃদ্ধির পালে আরো বাতাস লাগে।
অন্যদিকে, এমারাল্ড অয়েলের ঋণ নিয়ে আদালতে চলমান মামলায় দ্বিতীয়বার (প্রথম ২০১৭ সাল) সম্পদ নিলামের বিষয়টিও ছিল আলোচনায়।
আদালতের নিদের্শে সম্পদ নিলামের প্রস্তুতিকালে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ বছরে তিন হাজার টন অপরিশোধিত তেল জাপানে রফতানি করতে জাপানী একটি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। যা বন্ধুদেশ জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ইমেজ সংকট তৈরি করে এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার পুঁজিবাজারে মেনোরি বাংলাদেশের দুটি কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড ও এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ঘিরে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে। সরকারের নির্বাচনি বছরে এবং পুঁজিবাজারে প্রবল তারল্য সংকটকালে দুটি কোম্পানির শেয়ারের উত্থান সন্দেহজনক বলে মনে করছেন অনেক বিনিয়োগকারী।
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো- রূপালী লাইফের ৮৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার, সোনালী পেপারের ৭৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার, এমারেন্ড অয়েলের ৬৮ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, সী পার্ল রিসোর্টের ৬৬ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইন্ট্রাকো সিএনজির ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার, খান ব্রাদার্সের ৬২ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার, জেমিনি সী ফুডের ৬০ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং মিরাকল ইন্ডাষ্ট্রিজের ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।