স্টাফ রিপোর্টার: কিছুটা মূল্য সংশোধনের পর গতি বদল করেছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার। লোকসানি কোম্পানিটি শেষ ১২ কার্যদিবসে শেয়ারপ্রতি দাম ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দিলেও শেয়ারদরে সেই ছোঁয়া নেই। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২০ সালে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
এ ধরনের একটি কোম্পানির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসই সতর্কবার্তা প্রকাশের পর কোম্পানিটির শেয়ার দাম আরও প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। তবে গত আড়াই মাসে কোম্পানিটি নিয়ে আর কোনো সতর্কাবার্তা প্রকাশ করেনি ডিএসই। তবুও লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ার দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন দেড়শ টাকা হয়েছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১ মার্চ লিগাসি ফুটওয়্যারের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩৯ টাকা। সেখান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে ১০ এপ্রিল প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯৭ টাকা ৭০ পয়সায় উঠে। এরপর কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়ে ৬৫ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে। এই মূল্য সংশোধনের পর আবার হু হু করে বাড়তে থাকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম। এতে দেখতে দেখতে প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০০ টাকায় উঠে যায়।
এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফায় নোটিশ পাঠায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত ২৩ মে ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়। সে সময় লিগাসি ফুটওয়্যারের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৯০ টাকা ৩০ পয়সা।
এরপর দাম বাড়ার প্রবণতা আরও বেড়ে গত ৬ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৩৬ টাকা ৫০ পয়সায় উঠে। এরপর আবার কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়। ১৬ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০১ টাকা ৫ পয়সায় নেমে আসে। তবে এখন আবার দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম ১২৬ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসের ব্যবসায় লোকসান করেছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯০ পয়সা।
১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮০টি। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।