গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই বোর্ডে হিমাদ্রির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৭৪ টাকা। আর রেকিট বেনকিজারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৮২০ টাকায়। ২০২২ সালে রেকিট ৯৮০ শতাংশ ও হিমাদ্রি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
শেয়ারপ্রতি আয়ের তুলনায় বর্তমানে শেয়ারের দাম (প্রাইস-টু-আর্নিং হার) গত ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেকিটের ছিল ৩৮ এবং হিমাদ্রির ছিল এক হাজার ২০। এতে বুঝা যাচ্ছে রেকিটের তুলনায় হিমাদ্রির শেয়ার কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।
শেয়ারবাজারের তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমারস্টক ডট কমের প্রধান নির্বাহী আলী জাহাঙ্গীর বলেন, মূলত শেয়ারের সংখ্যা কম থাকায় হিমাদ্রি লিমিটেডের শেয়ারের দাম বাড়ছে।
হিমাদ্রি লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৭৫ লাখ টাকা এবং এর শেয়ার আছে মোট সাড়ে সাত লাখ। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ স্পন্সর ও পরিচালকদের কাছে, এক দশমিক ৪৮ শতাংশ সরকার ও বাকি অংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ছোট ফ্রি ফ্লোটের কোম্পানির শেযার যেকোনো সময় চাহিদা-সরবরাহের অসামঞ্জস্যের কারণে হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়ে কেউ গুজব ছড়ালে অবশ্যই শেয়ারের দাম আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
আলী জাহাঙ্গীরের মতে, যখন প্রতিষ্ঠানটিকে আগের ওভার-দ্য কাউন্টার মার্কেট থেকে এসএমই বোর্ডে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন তাদের পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে বাধ্য করা উচিত ছিল। শেয়ার বেশি থাকলে এ কোম্পানিকে কারসাজির জন্য কেউ টার্গেট করত না।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হিমাদ্রি লিমিটেডকে ওটিসি মার্কেট থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করা হয়।