Homeখাতওয়ারী সংবাদ১ অক্টোবর থেকে চুক্তিভিত্তিক গ্লাস অ্যাম্পুল উৎপাদনে যাচ্ছে ফার্মা এইডস

১ অক্টোবর থেকে চুক্তিভিত্তিক গ্লাস অ্যাম্পুল উৎপাদনে যাচ্ছে ফার্মা এইডস

স্টাফ রিপোর্টার: বেসরকারি খাতের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে গ্লাস অ্যাম্পুল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ফার্মা এইডস। কোম্পানিটির বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় গ্লাস অ্যাম্পুলের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

তথ্যানুসারে, ১ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস পরীক্ষামূলকভাবে চুক্তি অনুসারে উৎপাদন কার্যক্রম চলবে। সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ফার্মা এইডসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা ৩১ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৪৪ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ফার্মা এইডসের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা।

আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ১১ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ৯৮ টাকা ৮৩ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৯৩ টাকা ২৬ পয়সায়।

১৯৮৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফার্মা এইডসের অনুমোদিত মূলধন ৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ২৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও বাকি ৬০ দশমিক ৭২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৭৯০ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭৯০ টাকা ৭০ পয়সা ও ৯৭৩ টাকা।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৭০ দশমিক ৯৮, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১১,৮৬০ দশমিক ৫০।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত