স্টাফ রিপোর্টার: সময়মতো আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে বিপদ আছে। যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ভাতা এই ধরনের ভাতার ওপর কর বসবে। কোনো কর রেয়াত মিলবে না। বিনিয়োগজনিত কর রেয়াতসহ সব ধরনের কর সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। বিশেষ করে বেসরকারি চাকরিজীবীরা বেশি ঝামেলায় পড়বেন।
নতুন আইন অনুযায়ী, একজন চাকরিজীবী সারা বছর মূল বেতনের পাশাপাশি যাতায়াত, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা পান। এসব ভাতার টাকার মধ্যে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত কিংবা বার্ষিক মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের মধ্য যেটি কম, তা করমুক্ত থাকবে। কিন্তু ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে এসব সুবিধা বাদ যাবে এবং এসব ভাতার ওপর কর বসবে।
এর কারণ হলো, আইন অনুযায়ী ভাতা হিসেবে পাওয়া টাকাও করের আওতায় চলে আসবে। তখন আবদুল্লাহ আল মামুনের করযোগ্য আয় হবে তিন লাখ টাকা। আয়কর আইনের নতুন কর হার অনুযায়ী, প্রথম ১ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ এবং পরের ২ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
এ ছাড়া কোনো করদাতা বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পেলে কিংবা বিদেশ থেকে কোনো আয় এলে তা করমুক্ত। কিন্তু ৩০ নভেম্বরের পর রিটার্ন দিলে এ ক্ষেত্রেও কর দিতে হবে।
নতুন আইন অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর বা কর দিবসের আগের রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হলে এনবিআরের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, ৩০ নভেম্বরের পরও রিটার্ন দেওয়া যাবে। এনবিআর বলেছে, কর দিবস পরবর্তী যেকোনো সময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আয়কর আইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় বৃদ্ধির কোনো বিধান রাখা হয়নি। কেননা করদাতারা এখন যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। ওই করদাতাকে মোট করের ওপর সুদ আরোপ হবে। এর মানে হলো, বাড়তি কর তো দিতেই হবে। সেই বাড়তি করের ওপর সুদ আরোপ হবে।
বর্তমানে প্রায় ৯০ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ লাখের মতো রিটার্ন জমা দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।