সিনিয়র রিপোর্টার: বহুজাতিক কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত এপ্রিলে পৃথক্করণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্যাস ও হার্ড গুডস ব্যবসা পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। পৃথক্করণ প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের অনুমোদন পেয়েছে কোম্পানিটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট ব্যবসা পৃথক্করণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। পৃথক্করণের পর লিন্ডে বাংলাদেশের হার্ড গুডস ব্যবসা এবং এ-সংক্রান্ত সম্পদ ও দায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শতভাগ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি লিন্ডে ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে স্থানান্তরিত হবে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়া হয়েছে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৪ টাকা ৯৫ পয়সা।
গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭৩ টাকা ৮৫ পয়সায়। এদিকে, চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা ৩০ পয়সা।
সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে লিন্ডে বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৮০ টাকা ৫৫ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে প্রায় ২৮ শতাংশ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ টাকা ৪৪ পয়সায়।
লিন্ডে বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানি নামে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রির্জাভে রয়েছে ৫৯১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ৩০০। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যেক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ১০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।