ন্যাশনাল ব্যাংকের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নিয়েছে। পর্ষদের প্রথম সভা বুধবার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আলোচনা হয়েছে, ব্যাংকটিতে নতুন করে আর যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আগে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকটি।
সভায় এ–ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে ব্যাংকটির যেসব ঋণে অনিয়ম ও যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে নতুন পরিচালনা পর্ষদ। ব্যাংকের নবগঠিত পর্ষদের একাধিক পরিচালক এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। গতকাল নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪৯১তম সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। এ সময় নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের স্বতন্ত্র পরিচালকসহ অন্য পরিচালকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, পর্ষদের সবাই একমত হয়েছে, ব্যাংকটিতে আর অনিয়ম হতে দেওয়া যাবে না। আবার আগের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে নতুন পর্ষদ কেন, এটাও বড় প্রশ্ন। তাই অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে হবে। প্রথম সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মনে হয়েছে, সবাই এমনটা চায়।’
গত বৃহস্পতিবার আগের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে ব্যাংকটির এমডিকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাদ পড়েন আগের পর্ষদের চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার, পরিচালক রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার, নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া ও মুরশিদ কুলি খান। তাঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন শেয়ারধারী পরিচালক এবং বাকি দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।