সকল মেনু

শেয়ারদর বাড়ছে-কমছে, মূল্য সূচকের হেরফের হচ্ছে না কেন

তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে বা কমছে, তবে মূল্য সূচকের হেরফের হচ্ছে না। কারণ সকাল ১০টায় দিনের লেনদেনের শুরুতেই আগের দিনের ৬১১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট থাকা ডিএসইএক্স সূচক ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশই খুইয়ে বসেছে। বিনিয়োগকারীরা দিনভর শেয়ার কেনাবেচা করেছেন এ অবস্থার মধ্যে। রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, বিকালে ত্রুটি সারানো পর দেখা যায়, সূচক ৩৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৬০৭৫ পয়েন্টে নেমেছে।

সূত্র আরো জানায়, কারিগরি ত্রুটির কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সূচক গণনায় সমস্যা হয়। ‘আমরা নেটওয়ার্কস’ নামের কোম্পানির রাইট শেয়ার ইস্যু-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর হালনাগাদ তথ্য সূচকে যুক্ত করতে গিয়ে এ ত্রুটি দেখা যায়। লেনদেন চলাকালে ত্রুটি সারানো সম্ভব হয়নি।

ডিএসইর সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জের সহায়তায়  সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ জানায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

এর আগে বহুবারই কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইর লেনদেন বিঘ্নিত হয়েছে। তবে সূচকের এমন সমস্যার নজির নেই। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সিএফও এবং সিওও (চলতি দায়িত্ব) সাত্বিক আহমেদ শাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ডিএসই। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও এ ঘটনায় দুই সদস্যবিশিষ্ট পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জমান বলেন, আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার-সংক্রান্ত তথ্য সূচক গণনায় আপডেট করতে গিয়ে সমস্যাটি হয়। সঙ্গে সঙ্গেই ওই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়। তবে অন্য সব কোম্পানির স্বাভাবিক শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরুতে ডিএসইএক্স আগের দিনের ৬১১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট থেকে ৬১১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট হারায়, যার কোনো সুযোগই নেই।

এদিন ৮৪ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ২৬১টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৫৫টির। তবে মোট লেনদেন ৪৭৮ কোটি টাকায় নেমেছে, যা আগের দিনের থেকে ২২৫ কোটি টাকা কম।

সূত্র জানায়, সূচক গণনায় এজিএম-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর পুরো বছরের জন্য একবারই তথ্য নেওয়া হয়। মধ্যবর্তী সময়ে বড় অঙ্কের শেয়ার যুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট রেকর্ড ডেটের পরই সিস্টেমে তথ্য হালনাগাদ করা হয়। হালনাগাদ করার কাজটি স্বাভাবিক (ডিফল্ড) প্রক্রিয়ায় করার সুযোগ আছে। তবে রোববার তা না করে চাপিয়ে দেওয়া ‘ফোর্স’ প্রক্রিয়ায় তা কার্যকরের চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এতেই বিপত্তিটি বাধে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top