সকল মেনু

দুদকের মামলা: অর্থ আত্মসাতের মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে

সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ।
আবদুল মান্নানসহ ১২ জনকে আসামি করা হয় সেই মামলায়।

সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের স্পন্সর ডিরেক্টর, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে দাঁড়িয়ে জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মোশাররফ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফসির চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুল মান্নান। নিজে লাভবান হওয়ার জন্যই যথাযথ কাগজপত্র না থাকার পরও তিনি ঋণের অনুমোদন দিয়েছিলেন। ফলে অপরাধের সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত।

অপরাধ প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীন সাজা হতে পারে। ফলে তিনি জামিন পেতে পারেন না—এই বলে জামিনের বিরোধিতা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’ মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে আছে বলেও জানান তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এম এ মান্নান ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) চেয়ারম্যান থাকাকালে মেসার্স টেলিকম সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. আমিনুর রহমানকে আট কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। বিআইএফসির অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে জামানত ও সম্পত্তি বন্ধক (মর্টগেজ) ছাড়াই এ ঋণের অনুমোদন দিয়েছিলেন মান্নান।

সুদ-আসল মিলিয়ে মামলার এজাহারে আত্মসাতকৃত টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয় আট কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ৭০৫ টাকা। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top