দেশের বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করা হয়েছে। একইসঙ্গে আর্থিক সংকটে থাকা ব্যাংকটির সব শেয়ার সিকদার পরিবার বিক্রি করে দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির সংবেদনশীল আরো তথ্যসহ প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে শিকদার গ্রুপ।
তাদের দাবি ব্যাংকটিকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘আক্রমণাত্মক ও অনুমান নির্ভর অসত্য তথ্য’ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো ‘ভিত্তিহীন ও অবান্তর’। তাই জনমনের বিভ্রান্তি দূর করতে বিষয়গুলো নিয়ে শনিবার কোম্পানি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে ব্যাখ্যা দেয় গ্রুপটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিকদার গ্রুপ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম জয়নুল হক সিকদারের ছয় দশকেরও অধিক পরিচালিত ঐতিহ্যবাহী একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সিকদার গ্রুপের অনেক অবদান রয়েছে। কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে সব অভিযোগ ও তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অবান্তর। কোন বৈধ সংস্থার রেফারেন্স ছাড়াই তা উল্লেখ করা হয়েছে। সিকদার গ্রুপ এ ধরনের মনগড়া, ভুল ও উদ্দেশ্যমূলক এবং প্ররোচনা সৃষ্টিকারী সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সিকদার সিকদার পরিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের সকল শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে বলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে, সিকদার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি শেয়ারও কারো কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও শেয়ার হস্তান্তরের কোন পরিকল্পনা নেই। আমরা আমাদের গ্রাহক ও শুভাকাঙ্খিদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সিকদার গ্রুপ তাদের কোন কোম্পানির মালিকানা বা সম্পত্তি কারো কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে অন্যকোন গ্রুপের সাথে কোন ধরনের আলোচনাও করেনি।
একটি কুচক্রিমহল দীর্ঘদিন ধরে মরহুম জয়নুল হক সিকদারের দুই কনিষ্ঠপুত্র রিক হক সিকদার এবং রন হক সিকদারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
প্রকাশিত সংবাদগুলোতেও ঢালাওভাবে নানা অভিযোগ করা হয়েছে এবং ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে; যার কোন সঠিক তথ্য ও প্রমাণ উপস্থান করা হয়নি। পঞ্চাশোর্ধ রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদারের হাতেখড়ি তাদের পিতা জয়নুল হক সিকদারের মাধ্যমে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া শেষে তারা আরাম-আয়েশের জীবন কাটাতে পারতেন। তা না করে তারা দেশে এসে তাদের পিতার সাথে হাটে-মাঠে-ঘাটে ঘুরে গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে ব্যবসা বাণিজ্য শিখেছেন। পিতার অবর্তমানে তারা ব্যবসায়ীক গ্রুপটির হাল ধরেছেন, এ সময়ে কুচক্রীমহল হীন স্বার্থ চারিতার্থ করতে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে।
একটি ষড়যন্ত্রের নমুনা উল্লেখ করতে চাই- একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের শেয়ার বা মালিকানা হস্তান্তর করেছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মরহুম জয়নুল হক সিকদারের প্রাণের প্রতিষ্ঠান দেশের প্রথম মহিলা মেডিকেল কলেজ যা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ দেশে বিভিন্ন দুর্যোগে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মাধমে বিশাল অবদান রেখে এসেছে। এটি দেশের প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারির একটি আধুনিক হাসপাতাল হিসেবে সুপরিচিত। কাজেই সিকদার মেডিকেল কলেজর মালিকানা হস্তান্তর করার প্রশ্নই আসে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।