সকল মেনু

ডিএসইএক্স ৫ হাজার ৩১০ পয়েন্টে, বাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা

সিনিয়র রিপোর্টার: তিন মাসের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক এক হাজার পয়েন্ট কমেছে। কারণ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা দেশের অর্থনৈতিক সূচকের আরও অবনতি হতে পারে। এদিকে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সোমবার আরো বেড়ে ৫ হাজার ৩১০ পয়েন্টে এসেছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি অব্যাহত রাখায় এই শঙ্কার তৈরি বলে মত দিয়েছেন তারা।

ডিএসইএক্স ১ হাজার ২২ পয়েন্ট বা ১৬ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৩১০ পয়েন্টে নেমেছে

চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গত রোববার পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ হাজার ২২ পয়েন্ট বা ১৬ শতাংশ কমে ৫ হাজার ২৫০ পয়েন্টে নেমেছে। সোমবার তা আরো বেড়ে ৫ হাজার ৩১০ পয়েন্টে এসেছে।

চলতি সময়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন বা টাকার অংকে শেয়ার মূল্য কমেছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা বা ১৫ শতাংশ। তিন বছর আগে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল ডিএসইএক্স ছিল ৫০০৮ পয়েন্ট।

মূলত চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর সূচকের তীব্র পতন শুরু হয়। এর আগে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখে দিলে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফ্লোর প্রাইস চালু করেছিল বিএসইসি। মূলত শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস চালু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু বিএসইসির এ সিদ্ধান্ত সূচকের পতন ঠেকাতে পারেনি।

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, মূলত দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের অবনতির কারণে শেয়াবাজারে সূচকের পতন হয়েছে। সব মিলিয়ে এখানের বিনিয়োগকারীরা এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তাই তারা শেয়ার বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন।

তার ভাষ্য, যখন দেশের অর্থনীতির সূচকগুলো ভালো অবস্থানে থাকে না, তখন তার প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্সের ওপর। এতে এসব কোম্পানির শেয়ারের দামও কমে যায়।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার বেড়ে ১২ শতাংশের বেশি হয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই তাদের অর্থ সেখানে বিনিয়োগ করবেন। সেটাই যৌক্তিক বলে আমি মনে করি।

এদিকে সরকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। তাই ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে ব্যাংকের তারল্যে, সেখানে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে আমানতের সুদহার বাড়িয়েছে, যোগ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top