সকল মেনু

গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব বিভাগের দায়িত্ব বিএসইসির এক কমিশনারের

কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদকে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনারদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের স্বাক্ষরে একটি আদেশ জারি হয়েছে। আদেশটি নিয়ে সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

আইন অনুযায়ী কমিশনারদের দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষমতা চেয়ারম্যানের। চেয়ারম্যান এ ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রশাসন এবং হিসাব বিভাগের দায়িত্বও নিজের কাছে রেখেছেন। যদিও গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যানের অধীন কোনো বিভাগ রাখার ক্ষমতা সরকার দেয়নি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, গত চার বছর ধরেই প্রশাসন এবং হিসাব বিভাগের দায়িত্বে আছি। তবে কমিশনার শামসুদ্দিন আহমেদকে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব বিভাগের দায়িত্ব অর্পণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদকে ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স, করপোরেট ফাইন্যান্স, মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়েটরিজ এবং ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট নামক চার বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইপিও, কিআইও, রাইট ইস্যু, মিউচুয়াল ফান্ড, তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা, সার্ভিল্যান্স, স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক, সিডিবিএল, করপোরেট গভর্ন্যান্সসহ কমিশনের সিংহভাগ কাজ এসব বিভাগেরই অধীনে।

নতুন দুই কমিশনারের মধ্যে মো. মহসিন চৌধুরীকে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন, আরঅ্যান্ডডি, ইন্টারনাল অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স এবং ইনোভেশন, এসডিজি, এপিএ ও এনআইএস বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব বিভাগের মধ্যে অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনের অধীনে শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্তের দায়িত্ব আছে। বাকি বিভাগগুলোর গুরুত্ব কম।

নতুন কমিশনার হিসেবে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন সংস্থারই সাবেক নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান। তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এমডির পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শেয়ারবাজার বিষয়ে প্রত্যক্ষ ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকার পরও তাঁকে চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ডিরাইভেটিবস, আইসিটি এবং ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি বিভাগের মতাে অগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপর কমিশনার রুমানা ইসলামকে আইন এবং এনফোর্সমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে।

এদিকে গণতন্ত্রে কমিশনের সচিব এবং চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব পদ প্রেষণে মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগের উল্লেখ আছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উল্লিখিত দুই পদে নিয়োগের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। জানা গেছে, এ চিঠির পর বিএসইসির চেয়ারম্যান উল্টো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, বর্তমানে কমিশনের নিজেরই দক্ষ ও যথেষ্ট জনবল আছে, কাউকে পাঠানোর দরকার নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top