সকল মেনু

ইউনিয়ন ব্যাংক আইপিওর অর্থ ব্যয়ের সময় বাড়াবে

ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যয়ের সময় আগামী ৩০ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনিবার্য কারণবশত এ অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যয় করতে পারেনি ব্যাংকটি। এ বিষয়ে আগামী ১২ আগস্ট ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেবে ব্যাংকটি।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৬ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১২ পয়সা।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৩ পয়সায়।

ব্যাংকটির সর্বশেষ ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে এ প্লাস এবং স্বল্পমেয়াদে এসটি-২। ব্যাংকটির ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনিয়ন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৪১ কোটি ১০ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৩ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ৪৪৮। এর মধ্যে ৫৬ দশমিক ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩০ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার ব্যাংকটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৬ টাকা ৩০ পয়সা ও ৯ টাকা ৩০ পয়সা।

২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরে ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি আইপিওতে সাবস্ক্রিপশন অনুষ্ঠিত হয়।

ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির এ আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে ব্যাংকটি। এ জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৪২ কোটি ৮০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে। উত্তোলিত অর্থে এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top