সকল মেনু

রিজার্ভ নিয়ে ভয়ংকর লুকোচুরি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

এবার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তথ্য নিয়ে লুুকোচুরি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এমন এক দিন বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ নিয়ে ভয়ংকর লুকোচুরি করলো, যার একদিন আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার রপ্তানি, খেলাপি ঋণ ও রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘সিলেক্টেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর উত্থান-পতন প্রকাশ পায়।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তথ্যে ভয়ংকর লুকোচুরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে গত ৩০ জুনের রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সাপ্তাহিক এ প্রতিবেদনের অন্যান্য সূচকগুলোর তথ্য গতকাল বুধবারের (১০ জুলাই)।

গত ৩০ জুনে রিজার্ভের যে তথ্য ছিলো, তা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ধার করা ডলারে বৃদ্ধি করা রিজার্ভ। গত মাসের শেষ দিকে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার ছাড় করেছে। একই সময়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং কোরিয়া থেকে প্রায় ৯০ কোটি ডলার এসেছে। এ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হয়েছিলো। ফলে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট রিজার্ভের পাশাপাশি প্রকৃত রিজার্ভও কিছুটা বেড়েছিলো।

তবে বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলারের ঘরে নেমেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ৩০ জুন রিজার্ভ (বিপিএম-৬) ছিলো, ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার।

আকু বিল পরিশোধের পর অর্থনীতিবিদর বলেছিলেন, এটিও প্রকৃত রিজার্ভ নয়। গ্রস রিজার্ভ থেকে আইএমএফ এর পাওনাসহ সব দায় বাদ দিলে নিট রিজার্ভের পরিমাণ আরও নিচে নেমে যাবে।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। তবে করোনা পরবর্তী অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং আগের দায় পরিশোধ বেড়েছে। গত ৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩ হাজার ৩৮৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এর ফলে ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top