সকল মেনু

দর কমেছে ৭৫% সিকিউরিটিজের

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে রবিবার। পাশাপাশি এদিন এক্সচেঞ্জটির সূচক ও লেনদেন নিম্নমুখী ছিল। অন্যদিকে দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন নিম্নমুখী ছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রবিবার দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৮৩ পয়েন্টে এবং আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ৫০৬ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএসই-৩০ রবিবার ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে এবং আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৯৪২ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দিন শেষে ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ২০৮ পয়েন্ট।

ডিএসইতে রবিবার ৬২২ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে এবং আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ডিএসইতে রবিবার মোট ৩৯৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ২৯৭ কোম্পানির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

রবিবার সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেস্ট হোল্ডিংস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, রবিবার ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে শীর্ষ ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেন ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের দখলে। আর ১১ দশমিক ৪ শতাংশ লেনদেন নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এছাড়া বস্ত্র খাত ৭ দশমিক ৭ ও ব্যাংক খাতের দখলে ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ।

এদিন ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষ ছিল পাট, সিমেন্ট ও টেলিকম খাত। এ তিন খাতে রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭, দশমিক ৮ ও দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষ ছিল ভ্রমণ, সিরামিক ও সেবা খাত। এসব খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭, ২ দশমিক ৩ ও ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

অন্যদিকে সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স রবিবার ৫৯ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯ হাজার ৪৮৫ পয়েন্ট। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই রবিবার ৯৭ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৬৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে এবং আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৫ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে।

এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ১৬৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির বাজারদর। রবিবার সিএসইতে ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯ কোটি ২ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top