সকল মেনু

জনতা ব্যাংক থেকে ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আমদানি-রপ্তানির নামে জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঋণ গ্রহীতা এবং জনতা ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার, ২৮ জুলাই কমিশন থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শিগগিরই চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করা হবে।

আসামিরা হলেন, ঋণ গ্রহীতা মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. টিপু সুলতান; জনতা ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা; ব্যাংকটির লোকাল অফিসের এজিএম মো. মসিউর রহমান (সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার), একই শাখার ডিজিএম শামীম আহমেদ খান, ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের এজিএম এ এস জহুরুল ইসলাম, ব্যাংকটির অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মো. মনজেরুল ইসলাম (সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক, আমদানী-রপ্তানী) ও ব্যাংকটির কমার্শিয়াল অফিসার সাইফুল ইসলাম।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চিনি ও বাচ্চাদের খাবার আমদানির নামে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজের অনুকূলে এলসি খোলেন মো. টিপু সুলতান। পরে সেই এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এই কোম্পানির হিসাব নম্বরে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করেন। পরে সেই স্থানান্তরিত ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের বিভিন্ন সময়ে আসামিরা ব্যাংকে থেকে তুলে আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়।

সম্প্রতি দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের এ মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক। ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সামছুল হক বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top