প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেডের কারখানায় আট মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কাঁচামাল সংকট এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ঘাটতির কারণে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত পুনরায় উৎপাদন চালু করা সম্ভব হয়নি। রবিবার স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
তথ্যানুসারে, ডিএসইর পক্ষ থেকে গত ২৯ জুলাই প্রাইম টেক্সটাইলের উৎপাদনের অবস্থা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। চিঠিতে কোম্পানিটির গত ছয় মাসের উৎপাদনের অবস্থা জানতে চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটি জানায়, গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে তাদের কারখানা বন্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) প্রাইম টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪৮ পয়সা। গত বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৬৯ পয়সা। এরপর থেকে কোম্পানিটির নিরীক্ষিত কিংবা অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
৩০ জুন, ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলসের পর্ষদ। কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৩ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬২ পয়সা।
১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২০০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৮২ লাখ। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে। এছাড়া ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ২৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪৪ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।