সকল মেনু

ছয় ব্যাংকের ঋণ বিতরণ বন্ধ, ইসলামী ব্যাংকের ৬ ডিএমডি বরখাস্ত

আওয়ামী সরকারের সহায়তায় পুষ্ট চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দেশের বেসরকারি ৭টি ব্যাংক। প্রবল জনরোষে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পরই ব্যাংকগুলোতে নের্তৃত্বের পরিবর্তন দাবিতে ঢাল হয়ে দাঁড়ান পুরনো কর্মীরা। তারই অংশ হিসেবে তীব্র তারল্য সংকটে ভোগা ৬ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ বা আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না।

অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকে অনিয়মে আর্থিক তারল্য শুষে নেয়ায় ব্যাংকের ৬ ডিএমডিসহ ৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা এস আলম গ্রুপের সহযোগী হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ পাচারে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ। সোমবার এ সংক্রান্ত দুটি চিঠিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করা ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

অন্যদিকে ঋণ বিতরণে হাজার-হাজার কোটি টাকার অনিয়ম করে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। গ্রুপের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত ইসলামী ব্যাংকের ৬ ডিএমডিসহ ৭ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্তরা হলেন- অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া আইবিটিআরএ প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে পাচারের অভিযোগ রয়েছে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না। তবে কৃষি, চলতি মূলধন, এসএমই, আমানতের বিপরীতে ঋণ ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে পারবে। পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।

তার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি ৯টি ব্যাংকে নগদ সহায়তা বন্ধ করে। অর্থাৎ দৈনিক ধারের লেনদেন বন্ধ করার দ্বিতীয় দিনে ৬টি ব্যাংকের ঋণ প্রদানেও শর্তারোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মৃতপ্রায় এই ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরেই তারল্যসংকটে ধুঁকলেও নগদ সহায়তা বন্ধ হওয়ায় তা আরো তীব্র হয়। দুই দিনে অধিকাংশ ব্যাংকের গ্রাহক চাহিদা মতো টাকা তুলতেও পারেনি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ টাকার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংদেশ ব্যাংকের নগদ অর্থসহায়তা কমিয়ে দেয়া ব্যাংকগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

সর্বশেষ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৬টি ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ বা আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top