আর্থিক খাতের বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ, সামিট, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ওরিয়ন ও নাসা গ্রুপ। এর মধ্যে এস আলম গ্রুপের সাইফুল আলম, নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের আজিজ খানসহ আরো কয়েকজনের অর্থ পাচারের আংশিক তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট।
আপাতত ৬টি গ্রুপের ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে একাধিক দেশে চিঠি দিয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীদের হাতে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে কী পরিমাণ অর্থ বের করা হয়েছে, তা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
দেশে-বিদেশে প্রভাবশালীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে সরকার। সন্ধান বের করে দেশের অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার করা হবে। এ জন্য জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে যোগাযোগও করা হয়েছে।
এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৭টি ব্যাংক থেকে অন্তত ২ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপটি।
শেখ হাসিনার শাসনামলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি নামে-বেনামে ঋণের নামে কত টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করেছে, তার হিসাব করা হচ্ছে। এর আগে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু হয়েছে।
বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এস আলম, নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিটের আজিজ খানসহ কয়েকজনের অর্থ পাচারের আংশিক তথ্য তাদের কাছে রয়েছে। আরও তথ্য জানতে বিভিন্ন দেশের এফআইইউতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।