বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ঋণের তিন কিস্তির অর্থ পেয়েছে। আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় আসছে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পুনর্বিবেচনা করতে।
ক্রিস পাপাদাকিসের নেতৃত্বে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরামর্শও দেবে।
দেশের রিজার্ভ বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার এই ঋণ চেয়েছিল। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদরদপ্তরে বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দেশের প্রতিনিধি দল আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তি পেতে বাংলাদেশ ভালো অগ্রগতি অর্জন করছে। পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য আলোচনা চলছে।
গত ২৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঢাকায় আলোচনা হয়েছে। ঋণের বিষয়টি কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে ওয়াশিংটনে আলোচনা চলছে। আগামী বৈঠকে আরও আলোচনা হবে।
গত জুন পর্যন্ত চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের চতুর্থ কিস্তির জন্য বাংলাদেশ সাত শর্ত পূরণ করেছে কি না তা পর্যালোচনা করবে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া সব শর্তই পূরণ করেছে। আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে, গত জুন পর্যন্ত সরকারের কর আদায়ের কথা ছিল তিন লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।
আইএমএফের আরেক শর্ত ছিল নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) বাড়ানো। তৎকালীন সরকারের অনুরোধে গত মে মাসে আইএমএফ এই হার কমিয়ে দেওয়ায় শর্তটি পূরণ হয়েছিল।
গত ৩০ জুনের মধ্যে প্রাথমিক এনআইএফ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। মে মাসের শেষের দিকে আইএমএফ তা ১৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের এনআইআর ছিল ১৬ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার।
এর আগে বাংলাদেশ ঋণের প্রতিটি কিস্তির এনআইআর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে আইএমএফ তা সংশোধন করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।