আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে শুদ্ধাচার ফেরাতে চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিতর্কিত ও ব্যাংকিং নীতি পরিপন্থি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন জিইয়ে রেখেছে সরকার।
বিতর্কিত সেই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে সোমবার, ৯ ডিসেম্বর সকালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জনতা ব্যাংক নির্বাহী, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা। রাজধানীর মতিঝিলে জনতা ব্যাংক ভবনের সামনে থেকে সরকারকে প্রজ্ঞাপন বাতিল করার আহ্বান জানান তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা না হলে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণার কথাও বলেন জনতা ব্যাংক নির্বাহীরা।
তাদের দাবি ব্যাংকিং খাতে চরম বৈষম্য সৃষ্টিকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা ২৩ সালের সালের প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। ব্যাংকে জি এম পদের নিয়াগ, পদোন্নতি ও পদায়ন স্ব স্ব ব্যাংক করবে। যা পূর্বে করা হয়েছিল। অন্য ব্যাংক থেকে জনতায় নতুন করে পদায়ন বন্ধ করতে হবে।
চাকরি শেষে বিশেষ সুবিধা দিয়ে কাউকে অফিসে রাখার পক্ষে আমরা নই। তাই আমরা চুক্তিভিত্তিক কোন নিয়োগ দেখতে চাই না।
একই দাবিতে গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে আবেদন করেন তারা। রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ব্যাংকগুলো পদোন্নতি বৈষম্যে ভেতরে ভেতরে ফুঁসলেও এখনো কোন কর্মর্সূচি ঘোষণা করেনি।
২০২৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নতুন প্রশাসক বসাতে আওয়ামী সরকার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন, অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশ এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ফলে চুক্তিভিত্তিক নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে শুদ্ধাচার ফেরাতে চেষ্টা করছে অন্তর্র্বতী সরকার। অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিতর্কিত প্রজ্ঞাপন এখনো বাতিল করেনি। যার কারণে রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নীতি সুরক্ষার নামে লুটেরা নীতি বহাল। অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগসহ পাচারের পথও খোলা রয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতে বৈষম্য সৃষ্টি করছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
জনতা ব্যাংকের কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ব্যাংকের এসপিও ইকবাল হোসেন, এসপিও মো. শাহজাহান, সাইফুল আবেদিন সেলিম, ডিজিএম তৌহিদা আফরোজসহ অনেকে।
তাদের দাবি অর্থ মন্ত্রলাণয়ের সাংঘর্ষিক এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। অন্য ব্যাংক থেকে জনতা ব্যাংকে পদায়ন চলবে না। চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। আমাদের অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়া হোক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।