স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার শেয়ার বাজারে একেক দিন একেক খাতে কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। তবে বছরের পর বছর ধরে ভালো ব্যবসা করতে পারছে না, লোকসান দিচ্ছে, এমন কোম্পানিতেই ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।
শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা না থাকার মধ্যেও বেশ কিছু দুর্বল কোম্পানির শেয়ার অস্বাভাবিক হারে লাফাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল লোকসানি বেশ কয়েকটি কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে হয়েছে ৭৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
ফুওয়াং ফুডস : গত বছর ১০ টাকার শেয়ারে ২ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানি দর আবার ১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে।
লুবরেফ: গত বছরের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষিত লভ্যাংশ অর্থসংকটের কারণে সময়মত বিতরণ করতে না পারা লুবরেফের দরও বেড়েছে প্রায় সমান হারে।
রূপালী ব্যাংক: তৃতীয় অবস্থানে ছিল গত বছর লভ্যাংশ না দেওয়া রূপালী ব্যাংক। গোটা খাত ঘুমিয়ে থাকলেও সাত কর্মদিবসে শেয়ারদর ২৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে হয়ে গেল ৩৪ টাকা ৪০ পয়সায়। বেড়েছে ৩৬ শতাংশেরও বেশি।
ফ্লোর প্রাইসে কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা ছিল না, এখন লেনদেন হচ্ছে ২০ লাখেরও বেশি। লোকসানি কোম্পানি অলিম্পিক অ্যাকসেসোরিজ, খান ব্রাদার্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের দরও বেড়েছে সার্কিট ব্রেকারের কাছাকাছি।
লোকসানি ইয়াকিন পলিমান, বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে গত বছর সামান্য মুনাফা করা ঢাকা ডায়িং, কোনো বছর শেয়ার প্রতি ১ পয়সা, কোনো বছর ২ পয়সা মুনাফা দেখানো জেনারেশন নেক্সট এবং বন্ধ কোম্পানি খুলনা পেপার মিলসও ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায়। এসব কোম্পানির শেয়ারদর ৭.০৮ শতাংশ থেকে ৮.৯৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে দর বেড়েছে এমন কোম্পানির তুলনায় কমে যাওয়া কোম্পানির সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
দর বেড়েছে ৮০টি কোম্পানির শেয়ারদর, দর হারিয়েছে ১০৬টি। আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ১৮৫টি কোম্পানি, যার সিংহভাগই আছে ফ্লোর প্রাইসে। সব মিলিয়ে ৩৯৩ টি কোম্পানির মধ্যে হাতবদল হয়েছে ২৭১টির দর। তিনটির লেনদেন স্থগিত আছে আর একটির লেনদেনের ইতিহাস নেই। ফলে ক্রেতা ছিল না ১৯টি কোম্পানির।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।