শাহীনুর ইসলাম শানু: প্রবল প্রতাপশালী ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের চতুর্থ মেয়াদে অর্থাৎ ১৬ বছরে পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হঠাৎ সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্টের পরে বদলাতে শুরু করে দেশ। আওয়ামী প্রভাবমুক্ত দেশে লুকিয়ে পড়েন আর্থিক বিশৃঙ্খলাকারী ও লুটেরা গোষ্ঠি। এখন নিখাঁজ সেই প্রভাবশালীরা। তবে শারীরিক নিরাপত্তার অভাবে তারা আড়ালে থাকছেন বলে অনেকেই জানান।
দেশেজুড়ে এখন আলোচনায় আর্থিক খাতের সেই খলনায়করা। তারা কে কোথায় আছেন- আলোচনার শিরোনাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিগত সরকারের অনেক নেতা আটক হলেও ব্যাংক লুটেরা অনেকে অন্তরীণ। তাদেও বেশিরভাগের ফোন নম্বর বন্ধ; খোলা থাকলেও তা ধরছেন না। নিরাপত্তার শঙ্কায় কয়েকজন দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে তারাও সীমান্তে আটক হন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ফজলে কবিরের হাতে শুরু এবং শেষ করেন আব্দুর রউফ তালুকদার। দুই গভর্নরের হাত দিয়েই আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলার গতি বাড়ে। সুনীতি ও শুদ্ধাচারের অভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাড়ে অপরানীতির ধারা। সেই প্রভাবে সাতটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ।
সেখানে অপকৌশলের আরো গতি বৃদ্ধি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। বর্তমানে তিনি এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এফ রহমানকে আটকের পরে তার ছেলে আহমেদ শায়ন ও পুত্রবধূর ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
তবে নতুন সরকার ও গভর্ণর নিয়োগে মুক্ত হয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও ন্যাশনাল ব্যাংক। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকও এ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এসব ব্যাংক চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের অনেকেই এখন আত্মগোপনে।
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার অন্তরীণ
আর্থিক খাতের খলনায়কদের শীর্ষে এস আলম গ্রুপের প্রধান সাইফুল আলম। তিনি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের পাসপোর্ট প্রত্যাখান করেন। একই মাসের একই দিনে জনপ্রতি মাত্র ৭৫ হাজার ডলার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ পরিবারকে বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। তবে তারা অন্তরীণ। জনশ্রুতি মিলেছে, আলম পরিবার সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন।
সেই এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল সাতটি বেসরকারি ব্যাংক। তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে কি পরিমাণ টাকা লুট করেছে, তা জানতে ৩টি অডিট টিম নিয়োগ দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যে সাইফুল আলমের পিএস আকিস উদ্দিনের নিয়ন্ত্রাণাধীন হিসাবে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে সাইফুল আলমের সাত ভাই ও তাদের পরিবারের ২০ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
আত্মগোপনে থাকা খলনায়করা নজরদারীতে
এস আলম নিয়ন্ত্রণে থাকা ও আওয়ামী সরকারের নেতাদের কব্জায় থাকা ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদ আত্মগোপনে রয়েছে। অনেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলেও সীমান্তে কড়া নজরদারীতে তার দেশত্যাগে সফল হচ্ছেন না। ব্যাংক খাতের দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারে জড়িত খলনায়কদের ওপর কঠোর দৃষ্টি রাখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চলতি সপ্তহের শুরুতে অর্থাৎ আজ রোববার থেকে খলনায়কদের আটকে অভিযানে নামবে বলে আভাস দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ব্যাংকের পদ ছেড়ে আত্মগোপনে যারা
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: বেসরকারি খাতের শরিয়াহভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। তার জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। আগামী এক বছরের জন্য তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। ১৯৯৯ সালের ১১ মে যাত্রা শুরু করা ব্যাংকটিতে একটানা ২৫ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি। ফোনেও তার খোঁজ মিলছে না।
ইউসিবি ব্যাংক: নানা নাটকীয়তার পর ইউসিবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারমুক্ত করে গত ২৭ আগস্ট পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে কৌশলে জাবেদ পরিবারের নিয়ন্ত্রণ রাখতে নানা নাটকীয়তা হয়। প্রথমে ব্যাংকটি থেকে জাবেদের স্ত্রী রুখমিলা জামানকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁর বোন রোখসানা জামান চৌধুরীকে। এর পর ২৭ আগস্ট তড়িঘড়ি করে আবার বোনকে সরিয়ে ফের সাবেক সচিব স্বতন্ত্র পরিচালক ড. অপরূপ চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করা হয়।
এক্সিম ব্যাংক: ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন হলো ‘বিএবি’। এক্সিম ব্যাংক থেকে সেই সংগঠনের ১৬ বছর ধরে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার এখন সরে দাঁড়িয়েছেন। বিতর্কের জন্মদিয়ে নতুন পর্ষদে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি মো. নজরুল ইসলাম স্বপন। প্রজ্ঞাপনের আগেই শুক্রবার ছুটির দিনে তড়িঘড়ি করে পরিচালনা পর্ষদে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ন্যাশনাল ব্যাংক: ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই ব্যাংকটির কর্তৃত্ব চলে যায় সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের কাছে। জয়নুলের মৃত্যুর পরে ২০২৩ সালে ছেলে-মেয়ের দ্বন্দ্বের কারণে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। নিজে ছেড়ে আরেক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তার ছেলে সেলিম রহমানকে বসিয়ে দেন তিনি। তবে আওয়ামী সরকার পরিবর্তনের পরে সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন মাল্টিমোড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিএনপির শীর্ষ নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক: চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন সেলিম রহমান। তিনি কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমানের ছেলে। তার আগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুস সামাদ, তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের (এস আলম) ভাই। তবে ব্যাংকটি এখনো এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম জাকারিয়া ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ওসমান আলী এখনো ব্যাংকটির পরিচালক আছেন। আবার ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি আবদুল হামিদ মিয়াও স্বতন্ত্র পরিচালক।
পদ্মা বাংক: নতুন প্রজন্মের ব্যাংকের মধ্যে বিভিন্ন কারণে সমালোচিত পদ্মা বাংক। দুর্নীতির বরপুত্র সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে সেই সমালোচনার সৃষ্টি।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ১৯৯৯ সালে চাকরিজীবন শুরু করেন তিনি। বিদেশি এ ব্যাংকে থাকার সময় হঠাৎ করেই বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হন তিনি।
২০০৮ সালে তিনি যোগ দেন আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে। হন কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ের প্রধান। তারপরে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার লুটের খলনায়ক।
শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে নাফিজ সরাফাতের সম্পর্কের কথা ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের প্রায় সবারই জানা। মাত্র ১৩ বছরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাংক, পুঁজিবাজার, বিদ্যুৎ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, গণমাধ্যমসহ আরও কিছু খাতে রহস্যজনক কিন্তু অপ্রতিরোধ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান নাফিজ সরাফাত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, তিনি মালিক হন হাজার কোটি টাকার। দুর্নীতির বরপুত্র সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে খুঁজছে পুলিশ।
এনআরবিসি ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ অলংকৃত করেন পারভেজ তমাল। চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের পরই নিজেকে পরিচয় দিতে থাকেন রাশিয়ান অলিগার্ক হিসেবে।
সেই পারভেজ তমাল পদত্যাগ করে নিজের পছন্দের কাউকে বসানোর চেষ্টা করছেন। এ জন্য সম্প্রতি গোপনে একটি পর্ষদ সভা ডাকলেও তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সফল হননি। প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় বছর চারেক আগে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে হস্তক্ষেপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি এখন অন্তরীণ।
সাউথ বাংলা ব্যাংক: চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন গত ৩১ জুলাই পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়া পালিয়েছেন। এনআরবি কমার্শিয়াল ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যানও পর্ষদে নিজের লোক বসানোর চেষ্টা করছেন।
মেঘনা ব্যাংক: আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত রংপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও মেঘনা চেয়ারম্যান এইচএন আশিকুর রহমানসহ অনেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
আইএফআইসি ব্যাংক: বর্তমান চেয়ারম্যান ও বে´িমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। আওয়ামী সরকার পতনের পরে আটক হয়ে রিমান্ডে আছেন তিনি। তার ছেলে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এসেস ফ্যাশন লিমিটেডের জনতা ব্যাংকে ঋণ খেলাপির দায়ে ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েন। কোম্পানি আইন অনুসারে জনতা ব্যাংকের ঋণ খেলাপির দায়ে তিনি পদবঞ্চিত হতে পারেন।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম। তিনি প্রায় ৩৮ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে এম.কম, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ান থেকে এমবিএ এবং গ্রিসের এথেন্স ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস থেকে ফাইন্যান্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
শুদ্ধাচারের ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। নতুন করে গঠিত পর্ষদে অনেকে নিজের লোক বসিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে পদ ছেড়ে আত্মগোপনে থাকা ব্যাংকের প্রভাবশালীদের শেষ গন্তব্য কোথায়- তা এখনি বলার সময় আসেনি বলেন আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা।
এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচবিএম ইকবাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মোরশেদ আলম, যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেকমন্ত্রী তাজুল ইসলামের ছেলে মো. সাইদুল ইসলাম এখন কোথায় আছেন? তবে অনেকে বলছেন- দেশের বাইরে।
শুদ্ধাচারের ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিবর্তিত বাংলাদেশে শুদ্ধাচারের প্রবল ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে আহসান এইচ মনসুরকে নিয়োগ দেয় আন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠন করা হয়েছে ব্যাংক কমিশন, দুর্বল ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন এবং ব্যাংক লুটে টাকার পরিমাণ জানতে ব্যাংকগুলোতে অডিট কমিটি নিয়োগের কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।