পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ও রিপিট আইপিওর (আরপিও) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা কোথায় ও কিভাবে বিনিয়োগ করেছে, ওই টাকার কত অংশ বিনিয়োগ হয়েছে, কতটা বাকী আছে- ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেচঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯২৪ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি যে ৯টি কোম্পানি পরিদর্শন করবে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, জেএমআই হসপিটাল জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড, সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
আলোচিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিএসসি আরপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করেছে। বাকী কোম্পানিগুলোর টাকা তুলেছে আইপিওর মাধ্যমে। বেশিরভাগ কোম্পানির বিরুদ্ধে হিসাবকারসাজি করে আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল দেখিয়ে বিনিয়োগ আইপিওতে আসার অভিযোগ আছে। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি কোম্পানি যে খাতে ও যে সময়সীমার মধ্যে আইপিওতে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যবহার করবে বলে প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করেছিল, বাস্তবে তা করেনি। এতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুন্ণ হয়েছে।
বেস্ট হোল্ডিংস আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৩৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিলো। আর ইনডেক্স এগ্রো আইপিওতে উত্তোলন করছে ৫০ কোটি টাকা, জেএমআই হসপিটাল আইপিওর মাধ্যমে ৭৫ কোটি টাকা, লুব-রেফ আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস তুুলেছিলো ৭৫ কোটি টাকা, রিং শাইন টেক্সটাইল আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা, সিকদার ইন্স্যুরেন্স আইপিও থেকে ১৬ কোটি টাকা এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিওর মাধ্যমে তুলেছিলো ৩০ কোটি টাকা।
© দৈনিক স্টক বাংলাদেশ- ২০২৩
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়: ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
ফোন: +৮৮০ ১৭৯৭-৬১১৯৬১, +৮৮০ ৯৬৩৮ ৯৩৫৭৩৬
ইমেইল: info@dailystockbd.com (যোগাযোগের সর্বোত্তম মাধ্যম মুঠোফোন)