মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের করপোরেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্থিতিশীলতা রক্ষায় অসাধারণ দক্ষতা দেখালেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তারা এখন হিমশিম অবস্থায়।
যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট জ্বালানি সংকট, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হার বাড়তে থাকায় সব মিলিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব অর্থনীতিই ঝড়ের থাবায় পড়বে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা। ইতোমধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুনাফাও কমতে শুরু করেছে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তিন মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত ৫৩ শতাংশ সংস্থার মুনাফা কমেছে। চাহিদা কমে যাওয়ার পাশপাশি উৎপাদন ও ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের সামনে টিকতে পারছে না অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। বছরের প্রথম তিনমাসে ফ্রাইট খরচ বেশি থাকা সত্ত্বেও ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বেড়েছিল বলে ইবিএল সিকিউরিটি রিসার্চের এক বিশ্লেষণে জানা গেছে।
এমনকি বড় কংগ্লোমারেট ও বহুমুখী প্রতিষ্ঠান যেমন এসিআই, স্টিল জায়ান্ট বিএসআরএম লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত, সিমেন্ট নির্মাতা ক্রাউন সিমেন্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাওয়ার কংগ্লোমারেট এনার্জিপ্যাক, বাণিজ্যিক গাড়ি অ্যাসেম্বলার ইফাদ অটোস, সিন্থেটিক জুতা রপ্তানিকারক ফরচুন শুজ এবং খাদ্য ও বেভারেজ পণ্যের রংপুর ডেইরি, এএমসিএল প্রাণ এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে লোকসান করেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পোর্ট অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক, কংগ্লোমারেট বেক্সিমকো, বিস্কুট বাজারের নেতৃস্থানীয় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম স্টিলস, শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক স্কয়ার ও বেক্সিমকো ফার্মা, মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী ও বাণিজ্যিক যানবাহন পরিবেশক রানার অটোমোবাইলস, শিল্পকারাখায় গ্যাস সরবরাহকারী ও ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোড জায়ান্ট লিন্ডে বাংলাদেশ, সিরামিক বাজারের নেতৃস্থানীয় আরএকে, লুব্রিকেন্ট ও এলপিজি জায়ান্ট এমজেএল বাংলাদেশ, চুলের প্রসাধন বাজারের শীর্ষস্থানীয় মেরিকো, হাইজিন পণ্যের শীর্ষস্থানীয় রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ- প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ও কমেছে।
ইবিএল সিকিউরিটিজের জ্যেষ্ঠ গবেষক ও ইকুইটি বিশ্লেষক রেহান কবির বলেন, সব প্রতিষ্ঠানই লোকসানের জন্য প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করছে।
পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের আগেও মহামারির কারণে সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন, ফ্রেইট চার্জের আকাশচুম্বী খরচ ও কিছু কাঁচামালের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা টানাপোড়েনে ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হয়ে ডলার ও জ্বালানিসহ নিত্যপণ্য বিশেষ করে কৃষিপণ্যের দাম বাড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
বিএসআরএম-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির আলি হুসেন বলেন, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে টাকার মান কমতে থাকার পাশাপাশি,ডিজেল-পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি এবং গ্যাস রেশনিংয়ের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া যারা ডিজেল-চালিত জেনারেটরের মতো বিকল্প শক্তির ওপর নির্ভর করে তাদের জ্বালানি ব্যয়ও বেড়েছে।
স্টিল মিলের মতো ভারী শিল্পগুলোতে বিদ্যুত ও গ্যাস রেশনিংয়ের কারণে ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উত্পাদন হ্রাস পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি ৯ শতাংশের ওপর মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় যার কারণে নৈতিকভাবে নিয়োগকর্তারা কর্মীদের বেতন বাড়ানোর জন্য চাপে ছিলেন। অন্যদিকে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারাও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরে কিছু কিনছেন না বলে মন্তব্য করেন ড. রিয়াজ।
এসিআই লিমিটেডের ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্ল্যানিং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্রদীপ কর চৌধুরী বলেন, যেসব কারখানায় আমদানি করা কাঁচামালের প্রয়োজন হয়, তারা কমপক্ষে ২০ শতাংশ বেশি ব্যয় করছে শুধুমাত্র ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে। এর ওপর বিশ্বব্যাপী বাজারের অস্থিরতার কারণে বেশিরভাগ কাঁচামালের দামও বাড়ানো হচ্ছে।
হেজিং প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে জুন প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত অন্তত ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির কথাও জানান তিনি।
অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সুদের হার বাড়তে থাকায় দেশে নির্মাণকাজ ধীর হয়ে পড়েছে যার ফলে সিমেন্ট, ইস্পাত ও পেইন্ট শিল্পেও এর প্রভাব পড়ছে। বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমান, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতিতে ইস্পাতের ব্যবহার প্রায় এক-চতুর্থাংশ কমেছে।
ক্রাউন সিমেন্ট বোর্ডের উপদেষ্টা মাসুদ খান জানান, এ বছর সিমেন্টের ব্যবহারও কমেছে।
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের পরিচালক ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাজ্জাদ রহিম চৌধুরী বলেছেন, এই বছর পেইন্টের বাজার প্রায় ৭ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হয়েছে। তবে বাজারের শীর্ষস্থানীয় বার্জার যথাযথ ব্যবস্থা ও দক্ষতার কারণে বিক্রি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, এধরনের পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্য ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য সব খাতই মন্দার মুখোমুখি। মূল্যস্ফীতি দীর্ঘমেয়াদী হলে ভোক্তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে অর্থনীতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তা ধীরগতিতে চলতে থাকে, বলেন তিনি।
এসিআই-এর নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কর চৌধুরী বলেন, ভোক্তাদের নিত্যপণ্যের বিক্রি ভালো কিন্তু উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যয় মুনাফা কমিয়ে দেয়। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান মুনাফাও পাচ্ছে না। প্রতিযোগিতা ও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া অবধি প্রতিটি ধাপে বর্ধিত ব্যয়বৃদ্ধির চাপে তারা পর্যুদস্ত।
সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার এরশাদ হোসেন বলেন, স্থানীয় অর্থনীতি ও বাজার বৈশ্বিক অস্থিরতার উত্তাপই টের পাচ্ছে।
দুশ্চিন্তায় রপ্তানিকারকরা
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, মূল্যস্ফীতির ভোক্তভুগী সাধারণ ক্রেতারা সবসময় নিত্য প্রয়োজনীয়র বাইরে অন্য জিনিস কেনাকাটা করা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করেন, সেটা বাংলাদেশে হোক বা পশ্চিমা বিশ্বে।
দেশের শীর্ষ ফুটওয়্যার রপ্তানিকারক অ্যাপেক্সের ইউরোপে একটি বৃহৎ বাজার রয়েছে। অ্যাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি সঙ্কট তৈরি হয়েছে যার ফলে প্রতিটি ইউরোপীয় পরিবারকে এই শীতে প্রতি মাসে ৬০০ থেকে ৭০০ ইউরো বেশি খরচ করতে হবে। ক্রমবর্ধমান সুদের হারের কারণে তাদের ঋণ পরিশোধের হারও বেড়েছে।
কয়েক দশকের উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে পশ্চিমা ভোক্তারা নতুন টি-শার্ট বা এক জোড়া নতুন জুতার পেছনে খরচ করতে আগ্রহী নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। অতিরিক্ত মালামাল জমে যাওয়ার ভয়ে খুচরা বিক্রেতারা বাংলাদেশের মতো উৎস দেশে অর্ডার দেওয়া কমিয়ে দিচ্ছে।
পোশাক রপ্তানিকারকরা ইতোমধ্যে অক্টোবরে চালান এক-পঞ্চমাংশ কমার কথা জানিয়েছেন। ফলে সেপ্টেম্বরের পর এবারও রপ্তানি কমার হার ১০ শতাংশের ওপর থাকবে।
লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নাসিম মঞ্জুর বলেন, আগামী ত্রৈমাসিকের জন্য ইউরোপ থেকে আসা জুতার অর্ডার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমেছে।
তবে এর মাঝেও রপ্তানিকারকরা বৈদেশিক মুদ্রায় আয় করবেন বলে তাদের বিনিময় ঝুঁকি কমবে। এত অনিশ্চয়তার মাঝে ভিন্ন কথাও শোনা যাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে পোশাকখাতে রপ্তানি কমলেও অক্টোবরে তা ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে সামগ্রিক জাতীয় রপ্তানি ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে।
এছাড়াও অক্টোবর মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে রপ্তানিকারকদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো ব্যয় বাড়লেও অর্ডার আসা কমে যাচ্ছে, ফলে ভারসাম্য রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
অন্যদের মতো ড. রিয়াজও আগামী মাসে রপ্তানি আয় নিয়ে উদ্বিগ্ন কেননা ইউরোপের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। তবে মার্কিন অর্থনীতির মাসিক পরিসংখ্যানে ঘুরে দাঁড়ানোর সংবাদ একদিকে ভালো বলেও মন্তব্য তাঁর।
কী আসতে চলেছে?
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে জুলাই-সেপ্টেম্বরের পরেও কর্পোরেট আয় আরও কমবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে কোনোরকমে মুনাফা ধরে রাখতে পারলেও সিংগার বাংলাদেশ ও বাটা জুলাই-সেপ্টেম্বরে লোকসানের মুখে পড়ে।
তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর এক-তৃতীয়াংশেরও কম, বিশেষত অপেক্ষাকৃত বেশি সহনশীল আর্থিক খাত ও বহুজাতিক সংস্থাগুলো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে এবং প্রফিটেবিলিটি অ্যাডভান্স-ডিক্লাইন অনুপাত ৫০/৫০ বলে প্রকাশ করেছে।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কর্পোরেট আয়ের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ এই তিন মাসে ব্যবসার পরিবেশ শুধু খারাপই হয়েছে বলেন অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ফ্রেইট খরচ ও কিছু কাঁচামালের বৈশ্বিক মূল্য কিছুটা কমলেও জ্বালানি সংকট, বিনিময় হারে ধাক্কা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে চাহিদার মন্দা সবই এই সময়ের মধ্যে আরও তীব্র হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, শীতকালে কম বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হলে তা অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারে। কিন্তু গ্রীষ্ম এলে একই সংকট ফিরে আসবে।
আগামী বছর জুনের আগে বৈশ্বিক জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের বাজারের কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে তিনি মনে করেন না।
ততদিনে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন আরও ৩ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। কেননা রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স দুটোই চাপের মধ্যে রয়েছে। রপ্তানি বাজার বিশেষ করে ইউরোপের বাজার শিগিগিরই স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
‘ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হতে আর কী দরকার?’ বলেন নাসিম মঞ্জুর।
‘মহামারির ধাক্কা থেকে কীভাবে উত্তরণ লাভ সম্ভব, আমাদের সমস্ত মনোযোগ সেদিকে ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুধু হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা কমবেশি সামলে উঠছিলাম। এরপরই ঝড় উঠল,’ বলেন তিনি।
২০২০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রায় তিন-চতুর্থাংশের আয় হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালে পুনরুদ্ধারের পথে থাকা ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই লাভের মুখ দেখে যা চলতি বছর মার্চে ৬৫ শতাংশের ওপর পৌঁছে বলে জানান ইবিএল সিকিউরিটিজের সিনিয়র গবেষক ও ইক্যুইটি বিশ্লেষক রেহান কবির। এবার সেই প্রবণতা আবার নিম্নমুখী বলেও মন্তব্য তার।
নাসিম মঞ্জুর বলেন, ঝড়ের তাণ্ডব ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি পয়েন্টে সাশ্রয় করতে হবে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে। কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, উৎপাদন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও সব পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
‘অনুৎপাদনশীল সক্ষমতার জন্য বড় ক্ষতি চুকাতে হয়,’ সতর্ক মন্তব্য তাঁর।
- তথ্য সূত্র : টিবিএস