সকল মেনু

সাইফ পাওয়ার: সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে ১২৪ কোটি টাকা মুনাফার লক্ষ্য

সিনিয়র রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক এবার সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনা ব্যবসায় নামছে। এ জন্য কোম্পানিটি একসঙ্গে আটটি জাহাজ ভাড়া নিয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করেছে কোম্পানিরটির এ ব্যবসায় বছরে ১২৪ কোটি টাকা মুনাফার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাইফ পাওয়ারটেক জানিয়েছে, জাহাজ পরিচালনার জন্য কোম্পানির শতভাগ মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাইফ ইউনাইটেড শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান শাফিন ফিডার কোম্পানির চুক্তি হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, শাফিন ফিডারের বহরে থাকা বড় আকারের সমুদ্রগামী আটটি জাহাজ ১৫ বছরের জন্য ইজারায় নিয়ে পরিচালনা করবে সাইফ ইউনাইটেড শিপিং কোম্পানি। প্রতিটি জাহাজের পণ্য পরিবহনক্ষমতা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। জাহাজগুলো চলাচলের প্রধান পথ হবে দুবাইয়ের ফুজাইরা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য গন্তব্যেও পণ্য পরিবহন করা হবে এ জাহাজে।

দুবাইয়ের ফুজাইরা বন্দর থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় নির্মাণসামগ্রী পাথর ও সিমেন্টশিল্পের কাঁচামাল। ফুজাইরা বন্দর থেকে পাথরের কোয়ারি খুব কাছে। তাই ওই বন্দর থেকে পণ্য আনলে খরচ কম পড়ে। বছরে অর্ধকোটি টনের বেশি পাথর বড় আকারের জাহাজে করে বন্দরটি থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়।

ডিএসই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদে কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রতিটি জাহাজ থেকে বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ১৫৪ কোটি টাকা ভাড়া বাবদ আয় হবে। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর মুনাফা হবে ১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এ হিসেবে আটটি জাহাজ থেকে মুনাফা হতে পারে প্রায় ১২৪ কোটি টাকা।

২০২০ সালে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে শাফিন ফিডার। ছোট আকারের কনটেইনার জাহাজ পরিচালনা দিয়ে শুরু করে তারা। সাইফ পাওয়ারটেক কয়েক খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করলেও তাদের মূল ব্যবসা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা। চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করছে কোম্পানিটি। এখন নতুন করে জাহাজ পরিচালনার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top