সকল মেনু

বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা তুলতে চায় আইডিএলসি

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত আইডিএলসি ২ বছরের জন্য বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন দিলে কোম্পানটি ৫০০ কোটি টাকা তুলতে পারবে বলে জানায় ডিএসই। আইডিএলসি ফাইন্যান্স বলছে এই বন্ডটি হবে আনসিকিউরড বন্ড অর্থাৎ বন্ডটি ছাড়তে তারা কোনো জামানত জমা দেবে না।

বন্ডটি নন কনভার্টাইবেল অর্থাৎ বন্ডটিকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না।

এছাড়া বন্ডটি হবে জিরো কুপন বন্ড বা বন্ডটিতে বছর বছর কোনো সুদ দেয়া হবে না মেয়াদ শেষে একবারে সুদে আসলে টাকা ফেরত দেয়া হবে। এই বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

বন্ড কিনতে পারবেন সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ও স্বায়ত্ত্বশাসিত করপোরেশনগুলো এবং বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা।

১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে। ২০১৮ সালে আইডিএলসি ২১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৫০ পয়সা।

২০১৯ অর্থবছরে মুনাফা হয় ১৬৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেওয়া হয় ৩ টাকা ৫০পয়সা। ২০২০ অর্থবছরে মুনাফা হয় ২৫৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেওয়া হয় প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৫০ পয়সা, আর ১০০ নতুন শেয়ারে ৫ট বোনাস শেয়ার।

২০২১ অর্থবছরে মুনাফা হয় ২১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দেওয়া হয় প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৫০ পয়সা, আর ১০০ নতুন শেয়ারে ৫টি বোনাস শেয়ার।

পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৫টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার।

আইডিএলসির বর্তমান বাজার মূলধন ২ হাজার কোটি ৬৬ লাখ টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top