Homeকোয়ার্টার রিভিউরেনউইক যজ্ঞেশ্বরের শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়ে ২০ টাকা

রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়ে ২০ টাকা

সিনিয়র রিপোর্টার: সরকারের মালিকানাধীন একটি যন্ত্রাংশ নির্মাতা সংস্থা রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড লোকসানে ডুবেই ছিল। লোকসানের সেই খাতায় শেয়ারপ্রতি যোগ হলো আরও ২০ টাকার মতো। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরের হিসাব তেমনটাই বলছে।

লোকসান বাড়ার কারণ দেখিয়ে এবারও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিটি। রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন একটি যন্ত্রাংশ নির্মাতা সংস্থা, যা চিনিকলগুলোর জন্য মেশিন ও যন্ত্রাংশ তৈরি করে। ১৮৮১ সালে কুষ্টিয়ায় ৩ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কোম্পানিটি। শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটি বেশ লাভজনক অবস্থানে থাকলেও পরবর্তীতে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে লোকসানে ডুবেছে।

মঙ্গলবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ঋণাত্মক, অর্থাৎ লোকসান হয়েছে ৪৩ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছরে লোকসানের পরিমাণ ছিল ২৩ টাকা ৩২ পয়সা। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় কোম্পানির লোকসান বেড়েছে আরও ১৯ টাকা ৯২ পয়সা। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে লোকসানের পরিমাণ আরও বেশি ছিল, ৩২ টাকা ৩৫ পয়সা।

ডিএসইর তথ্য বলছে, ২০২০ সালের আগের তিন বছর বেশ ভালো মুনাফায় ছিল কোম্পানি। সে সময়ে ভালো লভ্যাংশও পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ১৭ পয়সা আয়ের বিপরীতে ১২ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা, ২০১৮ সালে ৫ টাকা ৩১ পয়সার বিপরীতে ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয় কোম্পানি। তবে ২০১৯ সালে ৪ টাকা ২১ পয়সা আয় করলেও কোনো লভ্যাংশ দেয়া হয়নি।

কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্যও (এনএভিপিএস) ঋণাত্মক হয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দায় দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৪৮ পয়সা।

শেয়ারের বিপরীতে বড় অংকের দায় থাকলেও কোম্পানির শেয়ার দর আকাশচুম্বী থাকে। এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ৮০৫ টাকা। আর সর্বোচ্চ দর ছিল এক হাজার ২৮০ টাকা। মঙ্গলবার দর অপরিবর্তিত থেকে মাত্র ৮০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৭৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

কোম্পানির রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ নভেম্বর। আর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত ও আর্থিক প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম হবে ২৭ ডিসেম্বর।

কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সরকারের কাছে। বাকি অংশের মধ্যে ২১ দশমিক ১২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত