স্টাফ রিপোর্টার: মুদ্রানীতিতে বাজারভিত্তিক সুদহার চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি, ঘোষণা করা হবে মুদ্রার একক বিনিময় হার চালুর বিষয়েও।
রোববার (৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজেমি সেন্টারে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন আইএমএফের স্টাফ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। ৭ মে, রোববার শেষ হয়েছে প্রতিনিধিদলটির সফরসূচী।
মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে ডলারের একাধিক বিনিময় হার আছে। এর মধ্যে ব্যবধান ২ শতাংশের মধ্যে এলেই মুদ্রার একক বিনিময় হার বলা যাবে। এটি প্রায় অর্জিত হয়েছে। তবে, চেষ্টা করা হবে, যাতে আরো বেশি সীমার মধ্যে আনা যায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। এরমধ্যে যেসব দেশে গেছেন, সেসব দেশ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন তিনি। -যা আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের পর রিজার্ভ বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। এখন মূল চ্যালেঞ্জ হলো রিজার্ভ ধরে রাখা। আমাদের পেমেন্ট আছে। সেইসঙ্গে, পরিশোধ করা হয়েছে আকুর দায়। আর, এসব কারণে কমছে রিজার্ভ।
মুখপাত্র বলেন, রিজার্ভ কমলেও এর সঙ্গে রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্স সমন্বয় হবে। তখন রিজার্ভ আবার বাড়বে।
তিনি বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির বিষয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। সংস্থাটি আগামী অক্টোবরে আরো একবার সফর করবে। এবিষয়ে তখন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেজবাউল বলেন, আইএমএফের দেয়া বেশিরভাগ শর্তই পূরণ হয়েছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তবে, শর্ত পূরণ হলেও বেশ চ্যালেঞ্জ রয়েছে আমাদের জন্য। এক্ষেত্রে নিজস্ব পলিসি নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির পর চরম আকারের ডলার সংকটে পড়ে দেশ। ডলার সাশ্রয়ে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও চাপ কমছে না রিজার্ভের ওপর। উল্টো, রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত বাজারে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে আমদানি বিল পরিশোধে।
বর্তমানে, দেশের রিজার্ভ ৩০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে চলতি মাসে পরিশোধ করা হয়েছে ১ বিলিয়নের বেশি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল। রোববার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বন্ধ থাকায় দেশের রিজার্ভ থেকে এ হিসাব সমন্বয় হয়নি। আকু বিল পরিশোধের হিসাব সমন্বয় হলে ২৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে রিজার্ভের পরিমাণ।