আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসির ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড।কোম্পানিটিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-১’।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৭১ পয়সা।
এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৩৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৪১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সাত টাকা দুই পয়সা।
১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ২৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৫টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২৮ দশমিক ০৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৩ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩৩ টাকা। দিনজুড়ে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২২টি শেয়ার মোট ১৭১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ার ৩২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।