সকল মেনু

বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো। সেই গ্রুপের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কারসাজির কারণে মঙ্গলবার ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) ৯২৪তম সভায় মঙ্গলবার তাদের জরিমানা করা হয়। সভা শেষে গণমাধ্যমকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেয়ার কারসাজির কারণে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪২৮ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার আওতায় ১. মারজানা রহমানকে ৫ কোটি, ২. ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে ১ লাখ টাকা, ৩. মুশফিকুর রহমানকে ২৫ কোটি, ৪. মোস্তাফিজুর রহমানকে ৪০ কোটি, ৫. জুপিটার বিজনেসকে ২ কোটি ৫০ লাখ, ৬. অ্যাপোলো লিমিটেডকে ১ লাখ, ৭. এ আর টি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি, ৮. আবদুর রউফকে ১ কোটি, ৯. ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৩ কোটি, ১০. আবদুর রউফকে ৩০ কোটি, ১১. ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭০ কোটি, ১২. মুশফিকুর রহমানকে ১০০ কোটি, ১৩. মমতাজুর রহমানকে ১৮ কোটি, ১৪. জুুপিটার বিজনেসকে ২০ কোটি, ১৫. অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেডকে ১৫ কোটি, ১৬. মারজান রহমানকে ২৫ কোটি, ১৭. ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে ৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী প্রবল আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে আটক হন সালমান এফ রহমান। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এক হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

সিআইডি সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা আছে, বেক্সিমকো গ্রুপ বিগত ১৫ বছরে সাতটি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে।

তার মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।

এ ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে বাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। নতুন করে অভিযোগ ওঠায় সেই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বক্সিমকোর ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে গতকাল মঙ্গলবার ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করে বিএসইসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top