বেক্সিমকো শিল্পগোষ্ঠীর ছাঁটাই কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে অন্তর্বর্তী সরকার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্তের পর এই দুই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বেক্সিমকোর বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের পাওনা ৫৫০ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নেবে।
বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার বিক্রি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দুই প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বৈঠকে বসার কথা আছে।
বুধবার সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শাইনপুকুর সিরামিকের বাজারমূল্য কমে হয় ১১ টাকা ৪০ পয়সা।
দেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক বেক্সিমকো ফার্মা ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২৮ শতাংশ বাড়লেও ডিএসইতে আজ সকাল ১১টা ৬ মিনিটে তা এক দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে হয় ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয় ১৮৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এক বছর আগে তা ছিল ১৪৪ কোটি সাত লাখ টাকা। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়ে হয়েছে চার টাকা এক পয়সা। ২০২৩ সালের একই সময়ে তা ছিল তিন টাকা ২১ পয়সা।
আজ সকাল ১০টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ১১০ টাকা ১০ পয়সা ছিল।
চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে দুই টাকা ৫৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ৮২ পয়সা। বেক্সিমকো জানিয়েছে, ব্যাংকিং সুবিধা না থাকায় এ সময়ে তাদের উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, ২০২৪ সালের আগস্টের পর কোনো ব্যাংক বেক্সিমকোর জন্য ঋণপত্র খোলেনি। এ ছাড়াও, পোশাক কারখানাগুলোও বন্ধ থাকায় অব্যবহৃত কাপড় ও সুতা কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে।
‘এতে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস গত বছরের একই সময়ের তুলনায় নেতিবাচক হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।