খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে বন্ধ হবে। নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্টের ভিত্তিতে কেন্দ্র দুটি থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদন বন্ধ হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিটি।
তথ্য অনুসারে, বন্ধ হতে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি হলো খুলনার কেপিসি ইউনিট-২ এর ১১৫ মেগাওয়াট প্লান্ট ও নওয়াপাড়া কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট প্লান্ট। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) নির্দেশনা অনুসারে কেন্দ্র দুটির উৎপাদন বন্ধ রাখা হবে। এরই মধ্যে উৎপাদনের মেয়াদ বাড়াতে খুলনা পাওয়ার আবেদন করলেও বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন বলে জানানো হয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কেপিসিএলের আয় হয়েছে ২১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৭৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রথমার্ধে খুলনা পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা।
সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি। কেপিসিএলের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৬৭ পয়সা এবং আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৯ পয়সায়।
কোম্পানিটির ঋণমাণ দীর্ঘমেয়াদে ‘এ মাইনাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। কোম্পানির ৩০ জুন, ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
১৯৯৭ সালে দেশের প্রথম আইপিপি হিসেবে কেপিসিএলের যাত্রা শুরু। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১০ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৭০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৬৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮ দশমিক ৯০, বিদেশী দশমিক ১৮ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২০ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।