সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ২০ বছর পর পরিবর্তন এসেছে। রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এম এ কাশেম। তিনি বেসরকারি এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২২ সালে পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনিসহ তিনজন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা সবাই ব্যাংকের পরিচালক পদ ফিরে পেয়েছেন।
২০০৪ সাল থেকে টানা ২০ বছর সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন আলমগীর কবির। ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী এই পদে থেকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পর্ষদে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২২ সালে অনেকটা কাছাকাছি সময়ে সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি থেকেও বাদ পড়েন এম এ কাশেম, আজিম উদ্দিন আহমেদ ও রেহানা রহমান। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বেসরকারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি পদ ফিরে পান এম এ কাশেম, আজিম উদ্দিন আহমেদ, রেহানা রহমানসহ বোর্ড অব ট্রাস্টির ১২ জন সদস্য। পদ ফিরে পাওয়ার পর আজিম উদ্দিন আহমেদ এরই মধ্যে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন।
আজ পর্ষদের সভায় এম এ কাশেমকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তিনি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি। তিনি রোজ কর্নার (প্রাইভেট) লিমিটেডেরও চেয়ারম্যান। এম এ কাশেম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে চারবার দায়িত্ব পালন করেছেন।
পদ ফিরে পাওয়ার পর এম এ কাশেম বলেন, আমি যে অবস্থায় ব্যাংকটিকে রেখে গিয়েছিলাম, সেই অবস্থায় এটিকে ফিরিয়ে আনা এখন প্রধান লক্ষ্য। শেয়ারধারী ও আমানতকারীদের স্বার্থ যাতে কোনোভাবে ক্ষুণ্ন না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। আমার অনুপস্থিতিতে ব্যাংকে কী হয়েছে, তা নিরীক্ষার মাধ্যমে বের করা যায় কি না, তা নিয়ে পর্ষদে সিদ্ধান্ত হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।