স্টাফ রিপোর্টার : বাজারে ফিরছে রাইন ব্র্যান অয়েল ‘স্পন্দন’। চলতি জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে আবার এই ব্র্যান্ডের ভোজ্যতেলের বাজারজাত শুরু হবে। উৎপাদন শুরু মধ্য দিয়ে যেন হারানো হৃদস্পন্দন ফিরে পেয়েছে কোম্পানিটি।
রাইস ব্র্যান তেল হচ্ছে ধানের কুঁড়া থেকে উৎপাদিত প্রাকৃতিক ভোজ্য তেল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড তাদের উৎপাাদিত রাইস ব্র্যান তেল ‘স্পন্দন’ নামে বাজারজাত করে থাকে।
জানা গেছে, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর এমারেল্ড অয়েল লিমিটেডের কারখানায় ফের তেল উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার উৎপাদনে ফিরতে সক্ষম হয় কোম্পানিটি। চলতি বছরের শুরুর দিকে জাপানী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশ কোম্পানিটি অধিগ্রহণ করার পর নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়।
এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদিত স্পন্দন ব্র্যান্ডের তেলের বাজারজাত শুরুর তথ্য জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেছেন, এমারেল্ড অয়েলে সফলভাবে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক টন তেল উৎপাদন করছে কোম্পানিটি। চলতি জুন মাসের ২৭/২৮ তারিখে কোম্পানিটি এই তেল বাজারজাত শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিএসইসিতে অনুষ্ঠিত ‘ইনভেস্টমেন্ট টুলকিটস’ নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, জাপানী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কোম্পানিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিকে আবার উৎপাদনে ফেরানো সম্ভব হয়েছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেছেন, জাপানি প্রতিষ্ঠানটি এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদিত তেল জাপানে রপ্তানি করতে আগ্রহী। তবে আমি তাদেরকে বলেছি, আগে দেশের চাহিদা পূরণ করেন। তারপর রপ্তানির কথা ভাবা যাবে।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে মালিকরা জড়িয়ে পড়ার পর ২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদন। তারপর প্রায় ৫ বছর কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ-ই ছিল। প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসির বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বন্ধ ও নিভু নিভু যেসব কোম্পানির অবস্থার উন্নয়নে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এমারেল্ড অয়েল তারই একটি।