স্টাফ রিপোর্টার: খেলাপী ঋণের চাপ আর উদ্যোক্তাদের সীমাহীন দুর্নীতিতে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়া পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল) ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আদালতের নির্দেশে কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। আর এর অংশ হিসেবে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খোঁজা শুরু করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানি।
ইতোমধ্যে কোম্পানিটি এমডি চেয়ে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এই পদে শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ন্যুনতম ২০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে, পিপলস লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হাসান শহীদ ফেরদৌস জানিয়েছেন, তারা আগামী জানুয়ারি মাসে স্বল্প পরিসরে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে পুনর্গঠিত পর্ষদ ইতোমধ্যে ৭০ কোটি টাকার খেলাপী ঋণ আদায়ে সক্ষম হয়েছে। এ থেকে ২০ কোটি টাকা বিভিন্ন আমানতকারীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর ২০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানত (এফডিআর) হিসেবে রাখা হয়েছে। বাকী টাকা নগদ আকারে আছে। প্রতি মাসে গড়ে ৬ কোটি টাকার খেলাপী ঋণ আদায় করতে সক্ষম হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই অর্থ থেকেই সীমিত পরিসরে ঋণ কার্যক্রম শুরু পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাতে কোম্পানিটি নতুন করে আয় করতে শুরু করবে।
উল্লেখ্য, ব্যাপক খেলাপী ঋণ ও উদ্যোক্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক দুই বছর আগে পিপলস লিজিংকে অবসায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠানটিকে অবসায়ন না করে এটিকে পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেয়। কোম্পানিটির একটি পর্ষদও গঠন করে দেয় আদালত। এই পর্ষদ কোম্পানিটিকে ফের চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পিপলস লিজিং অবসায়নের সিদ্ধান্তের পর থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ধ আছে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।