স্টাফ রিপোর্টার: উদ্যোক্তাদের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় থাকবে কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা (সিএমএসএমই)।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই/২০২২) নীতিমালা গ্রহণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, দেশে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে অর্থনৈতিকভাবে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন অধিকতর গতিশীল হবে। প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হবে। সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন এ তহবিল থেকে।
মেয়াদী ঋণের বিপরীতে ৭ শতাংশ সুদ হারে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম-এর মেয়াদ তিন বছর। আর, সুদ আরোপিত হবে গ্রাহকের ঋণের ক্রমহ্রাসমান স্থিতির ওপর।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাবেন ক্লাস্টারভুক্ত সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা এর আওতায় থাকবে- নদীভাঙ্গন, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, মঙ্গা, অগ্নিকান্ড, ভূমিকম্প, ভবনধ্বস এবং কোভিড-১৯ এর ন্যায় অতিমারীর মতো যে কোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাসহ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন উদ্যোক্তা ও নারী উদ্যোক্তারা।
আর, মোট ঋণের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়- মোট ঋণের ন্যূনতম ৭০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ব্যবসা খাতে বিতরণ করতে হবে। ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের শ্রেণীকরণ বিষয়ে সিআইবি হতে নিশ্চিত হতে হবে। তবে ঋণ খেলাপিরা এ সুবিধা পাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপনে বলে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের মেয়াদ নির্ধারিত হবে শিল্প, সেবা ও ব্যবসার ধরন ভেদে। আর, ঋণের মেয়াদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হবে পুনঃঅর্থায়নের মেয়াদ। গ্রাহক পর্যায়ে এর গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ ৬ মাস এবং গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণের মেয়াদ ৫ বছরের বেশি হবে না। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করবে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ, আদায় ও সদ্ব্যবহার বিষয়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো বলে, নির্ধারিত ছকে প্রতি তিন মাস অন্তর সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে পরিচালক (এসএমইএসপিডি), এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর এ সংক্রান্ত বিবরণী দাখিল করতে হবে।
এতদ্ব্যতীত, ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে যে কোনো সময় পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানায়।