Homeখাতওয়ারী সংবাদসরকারের শীর্ষ মন্ত্রীর কোম্পানি সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত

সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীর কোম্পানি সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত

হোসাইন আকমল : বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেডের পরে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেড স্বেচ্ছায় পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ ব্যবসা বন্ধ করতে চায় কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ ২০১৭ সালের পরে থেকে কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ। দুটি কোম্পানির পরিচালক আওয়ামী লীগ সরকারের একজন উপদেষ্টা এবং অপরজন শীর্ষ মন্ত্রী।

ডিএসইতে কোম্পানির কর্তৃপক্ষের ঘোষণা

তালিকাচ্যুত হতে  সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে সম্পদ, কারখানা ও সরঞ্জামাদির পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন সাপেক্ষে তালিকচ্যুতির বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

কোম্পানির পরিচালক, সিইও এবং উদ্যোক্তাদের শেয়ার ধারণ করার চিত্র এবং পরিচালকদের নাম পরিচিতি চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ

পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সম্পদ, কারখানা ও সরঞ্জামের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০ টাকা। পুনর্মূল্যায়নের আগে এর পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ২৫ টাকা। পুনর্মূল্যায়ন উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১২ লাখ ২৭ হাজার ২৫৫ টাকায়।

নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোম্পানি এ পুনর্মূল্যায়ন করেছে।

কোম্পানিটির সম্পদ, কারখানা ও সরঞ্জামের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ ও তালিকাচ্যুতির জন্য কোম্পানির মূল্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যেই এ পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ও অন্যান্য ব্যালান্স বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারণ করা নিট সম্পদমূল্যের (এনএভি) ভিত্তিতে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ার কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে।

কোম্পানির শেয়ার দরের চিত্র

এক্ষেত্রে বিএসইসির পাশাপাশি সাধারণ সভায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নেয়া হবে। কাঁচামালের সংকট, স্থানীয় বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া, অত্যন্ত স্বল্প সক্ষমতার শিল্প ও আন্তর্জাতিক বাজারের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে দেশের বাজারে রিফ্র্যাক্টরিজের ব্যবসা সংকটের মধ্যে পড়েছে। এ কারণে কোম্পানিটির ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা পুঞ্জীভূত লোকসান হয়েছে।

কোম্পানির ৫ বছরের আয় বছরের আয়-ব্যয়ের চিত্র

কোম্পানিটির নিরীক্ষক তার কোয়ালিফায়েড মতামতে জানান, ২০১৬-১৭ হিসাব বছর থেকেই কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করছে না। ২০১৩-১৪ হিসাব বছরের থেকেই কোম্পানিটি পরিচালন লোকসানে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ২৬১ টাকা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সাত দিনের সর্বাধিক পঠিত