স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সাথে যোগ হয়েছে বৈদেশিক মূদ্রাবাজারে অস্থিরতা। আর, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। পরিস্থিতি হয়তো নিয়ন্ত্রণে আসবে, তবে সামনে মূল্যস্ফীতির যে বড় ধাক্কা আসবে- তা সামলানো অতি দূরহ। এমনটা মনে করেন- পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কর্তৃক রোববার (২১ আগস্ট/২০২২) আয়োজিত “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন- জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি হবে ১০ শতাংশ। -যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন- মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় আমাদের তেমন কোনো পলিসি নেই। এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না, কারণ আমরা নয়-ছয় পলিসিতে বাধা।
আহসান এইচ মনসুর বলেন- ওভারভ্যালু একচেঞ্জ রেট পলিসির কারণে এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকার ওভারভ্যালু একচেঞ্জ রেট পলিসি করে আসছে। দীর্ঘ সময় ধরে এমনটা হয়ে আসছে। তিনি বলেন- এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই সমন্বয় করতে বলা হলেও তা করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন- ১৮ মিলিয়ন ডলার কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স নেগেটিভ। বাণিজ্য ঘাটতি ৩৩ মিলিয়ন ডলার। এমনটা একদিনে হয়নি। প্রতি মাসে একটু একটু করে বেড়েই এ পর্যায়ে এসেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
আহসান এইচ মনসুরের মতে- এক্সচেঞ্জ রেট এখন নেমে এসেছে, হয়তো এটা স্থিতিশীল হয়ে যাবে। তবে সামনে বড় ধাক্কা আসবে মূল্যস্ফীতির। তিনি বলেন- চলতি বছর পর্যাপ্ত ধানের উৎপাদন হবেনা। ফলে চালের উপরে এর প্রভাব পড়বে।
ব্যবসায়ীদেরকে দোষারোপ করে লাভ হবে না বলেও মনে করেন পিআরআই নির্বাহী। তিনি বলেন- প্রয়োজন হলে সরকারকে আমদানি বাড়াতে হবে। এটা নিয়ে সরকারকে এখনই ভাবতে হবে। আর, তা না হলে আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।