সিনিয়র রিপোর্টার: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড। গত দুই বছর যাবতই দাপট দেখিয়ে শীর্ষ শিরোনামে রয়েছে। কখনো বিশাল লেনদেন নিয়ে, কখনো বা উত্থান-পতনের চমক নিয়ে।
তবে কোম্পানিটির ইতিবাচক খবর নিয়ে শিরোনামে থাকার গল্পই বেশী। মন্দা পরিস্থিতিতে বাজারকে ইতিবাচক রাখার ভূমিকায় রাখার ভূমিকা অগ্রগণ্য। তবে এবার বড় ইতিবাচক বাজারেও নেতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে কোম্পানিটি।
বাজার পর্যালোনায় দেখা যায়,বিদায়ী সপ্তাহে (২১-২৫ আগস্ট) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সুচক ও লেনদেন বিশাল উত্থান হয়েছে। বিশাল উত্থানে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা ১০ কোম্পানির মধ্যে ৯ কোম্পানির শেয়ারদরই বেড়েছে। কিন্তু লেনদেনের শীর্ষ কোম্পানি হয়েও বেক্সিমকো তার শেয়ারদর পজিটিভ রাখতে পারেনি। স্থান হয়েছে ভাগ্যহত কোম্পানিগুলোর তালিকায়।


ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪৭৭ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬.৮৮ শতাংশ। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে কোম্পানিটির উদ্বোধনী দর ছিল ১২০ টাকা ৭০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১১৯ টাকা ১০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর কমেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ১.৩৩ শতাংশ।
গত এক মাসের বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ০৪ আগস্ট ২০২২ তারিখ কোম্পানিটির শেয়ার দরে সর্বোচ্চ দর ছিল ১২৭ টাকা ৯০ পয়সা। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১১৯ টাকা ১০ পয়সায়। এই সময়ে দর কমেছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা বা ৬.৮৮ শতাংশ।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত ওঠা-নামা করেছে।
কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি বরাবরই ভালো ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। গত বছর ২০২১ সালে বেক্সিমকো লিমিটেড ৩৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২১-মার্চ’২২) কোম্পনিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৩ টাকা ১৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা।
সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ী কোম্পানিটির পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬.৭৮ পয়েন্টে।